সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অতি আগাম করে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হচ্ছে। উপজেলার কোনো কোনো এলাকার উচু মাঠে কৃষকেরা এ ধানের আবাদে চারা লাগাচ্ছেন। অনেক এলাকার কৃষকেরা এখন স্বল্প মেয়াদী (কম দিন) জাতের রোপা আমন ধান ফসলের আবাদ করছেন।
এদিকে এবারের মৌসুমে রোপা আমন ধানের আবাদ বেশী পরিমাণ জমিতে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কৃষকদেরকে নতুন ব্রি ধান -১০৩ এর আবাদে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে এবারের মৌসুমে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার মাঠে মোট ১১ হাজার ৪০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর আবাদে রোপা আমনের বিভিন্ন জাতের ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে। এখন বর্ষাকালের শ্রাবণ মাস চলছে। এবারে এখনো স্বাভাবিক বন্যা হয়নি।
স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী বন্যা হলে পানিতে তলিয়ে যায় এমন কোনো কোনো মাঠে কৃষকেরা অতি আগাম করে রোপা আমন ধানের আবাদ শুরু করেছেন। সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের দক্ষিণচড়া মাঠে কৃষকেরা রোপা আমন ধানের আবাদে চারা লাগাচ্ছেন। কৃষকেরা নিজেদের তৈরী বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে লাগাচ্ছেন বলে জানানো হয় । কৃষকেরা জানান কম দিনে ফসল ঘরে তোলা যায় ও বেশী হারে ফলন মেলে এমন জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ করছেন।
কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, আর বর্ষা বলতে বন্যার পানি জমিতে উঠবে না ভেবে রোপা আমন ধানের আবাদে চারা লাগানো শেষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ এর বদলে কম দিনে ধান ফসল ঘরে উঠে এমন সব জাতের ধান আবাদে কৃষকেরা ঝুকেছেন। কৃষকেরা আগ্রহ নিয়ে এর আবাদ করছেন। কৃষকদেরকে স্বল্প মেয়াদী বলতে কম দিনে ফসল ঘরে উঠে এমন জাতের ধান আবাদে অনেক আগে থেকেই উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা স্বল্প মেয়াদী জাতের ব্রি ধান -৭১ , ব্রি ধান - ৭৫, ব্রি ধান - ৮৭ , ব্রি - ৯০ এবং বিনা ধান -১৭ ও বিনা ধান - ২২ এর আবাদ করছেন। কৃষি অফিস থেকে একেবারে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে এসব ধানের আবাদে উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া একেবারে নতুন একটি জাত ব্রি ধান - ১০৩ এর আবাদ বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন স্বল্প মেয়াদী রোপা আমন ধানের আবাদ বেশী পরিমাণ জমিতে সরিষা ফসলের আবাদে সহায়ক হয়ে ভূমিকা রাখছে।
একুশে সংবাদ/সা.স.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :