ধুমধাম করে চলছিল বিয়ের আয়োজন। বাড়িভর্তি লোকজনের মুখে বিয়ের গীত। তবে বিয়েতে মত ছিলনা স্কুলছাত্রী নদীর। মঙ্গলবার গায়ে হলুদের পর বুধবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সব আয়োজন শেষ। এরইমধ্যে বিয়ে বাড়িতে অভিযান দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়।
গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট বাবলাতলা গ্রামে স্কুলছাত্রী নদীর পিতার বাড়িতে ওই বাল্যবিয়ে বিরোধী অভিযান চালানো হয় বুধবার বেলা ১১টার দিকে।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আত্মীয় স্বজনেরা। এসময় বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত থাকার দায়ে স্কুলছাত্রী নদীর নানীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। এছাড়া বাল্যবিয়ে না দেওয়ার স্বর্তে মুচলেকাও নেওয়া হয়।
স্কুলছাত্রী নদী জানায়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করে সে। নিজের মতের বিরুদ্ধে পরিবারের লোকজন জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন। বিয়ে বন্ধ হওয়ায় আবার বিদ্যালয়ে যেতে পারবে সে। সে উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যাবাদ জানিয়েছে। নারী উদ্যোক্তা বেলী আক্তার জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান, খবর পাওয়ার সাঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা হয়। সার্বিক অপরাধ বিবেচনায় ওই ছাত্রীর নানীকে জরিমানা করা হয়। একই সাথে বাল্যবিয়ের সাথে না জড়ানোর জন্য মুচলেকা নেওয়া হয়।
একুশে সংবাদ/জ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :