বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। বাংলাদেশের জাতীয় মাছের ভরমৌসুমে ইলিশের আমদানি অনেকটাই কম। তবে এখন সাগরেও ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ ধরতে যাওয়া অনেকের রয়েছে জীবন্ত গল্পও। যেমন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন রামগতি এলাকার জেলে আবুল খায়ের। স্থানীয় মহাজনের কাছে স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে আট লাখ টাকা ধার নেন। সেই টাকা নিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ সাগরে ট্রলার ভাসান।
জাল ফেলার পর প্রথম টানেই ভাগ্য ঘুরে গেছে তার। এক টানে ইলিশ পেয়েছেন ১৭০ মণ। রবিবার এই ইলিশ বিক্রি করে পেয়েছেন ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা। স্থানীয় লোকজন বলছেন, এই উপকূলে এযাবৎকালের মধ্যে কোনো জেলের জালে ধরা পড়া এটা হলো সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মাছ। শনিবার বিকেলে জেলে আবুল খায়ের ইলিশগুলো উপজেলার অন্যতম বড় মাছের মোকাম মহিপুর মৎস্য বন্দরের আড়তে বিক্রি করেছেন।
এই ট্রলারটিতে ছিলেন স্থানীয় ইউনুস মাঝি। ২৩ আগস্ট সকালে জাল ফেলেন। এদিন বিকেলে জাল তোলেন, এ সময় প্রচুর ইলিশ মাছ পান। এরপর তারা মহিপুর মৎস্য বন্দরের উদ্দেশে রওনা করেন। আবুল খায়েরের ইলিশ কিনেছেন মহিপুর মৎস্য বন্দরের মিঠুন ফিশের মালিক মিঠুন দাস। তিনি জানান, জেলে আবুল খায়েরের জালে বিভিন্ন আকারের ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। এর মধ্য ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ রয়েছে ৫৭ মণ।
৪২ হাজার টাকা দরে এর দাম হয়েছে ২৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৮ মণ। ৩৩ হাজার টাকা দরে দাম হয়েছে ২২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। তিনটিতে এক কেজি হয়, এমন আকারের ইলিশ ধরা পড়েছে ৯ মণ। ২৭ হাজার টাকা দরে এই ৯ মণের দাম হয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ১ কেজি থেকে ১ হাজার ২০০ গ্রামের মধ্যে ইলিশ ধরা পড়েছে ১ মণ। এর দাম হয়েছে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। ধরা পড়া ইলিশগুলো ট্রলারে সঠিকভাবে সুরক্ষা করতে না পারায় ৫০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের পাম (পচা) ইলিশ হয়েছে ৩৫ মণ। ১৫ হাজার টাকা দরে এর দাম হয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
একুশে সংবাদ/প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :