পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের পান্তাডুবি এলাকায় এক নারীকে জোড় করে তুলে নিয়ে সংঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি আমিন খান আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্ধি মূলক স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
শনিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় জবানবন্ধি মূলক স্বীকারোক্তি দিয়ে দোষ স্বীকার করেন প্রধান আসামী আমিন খান।
এর আগে শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের তেজদাসকাঠী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমিন খান ও তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক সেহাগকে আটক করে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামি আমিন খান (৪২) তেজদাসকাঠী এলাকার চাঁন খানের পুত্র এবং সহযোগী মোটরসাইকেল চালক সোহাগ একই এলাকার বাসিন্দা।
সংঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী (৩১) পৌরসভার শিকারপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তার শ্বশুর বাড়ি ইন্দুরকানী উপজেলা পত্তাশী ইউনিয়নে তিনি দুই সন্তানের জননী।
এ ঘটনায় ওই নারী শুক্রবার বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ টানা আভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী আমিন খান ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ওই নারী একটি (রেন্ট-এ-কার) এর মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুর থেকে কদমতলা যাওয়ার সময় পথে ব্রাক্ষণকাঠী শলারদরজা এলাকা থেকে আমিন খান নামে এক বখাটে গতি রোধ করে মোটরসাইকেলে ওঠে তাদের কদমতলা পান্তাডুবি এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরো কয়েকজন মিলে একটি ভাঙ্গা ঘরের ভেতরে ডুকিয়ে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর কাছে থাকা একটি মেবাইল ফোন ও বিকাশের পাসওয়ার্ড জেনে সেখানে থাকা দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে বের হয়ে রাস্তার উপরে পড়ে গিয়ে কান্নাকাটি করায় স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে পাঠায়।
একুশে সংবাদ/ব.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :