ডেঙ্গুর প্রকোপ এবং ডাবের সংকটের অজুহাতে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীতে বেড়েছে ডাবের দাম। প্রতি পিস ডাব এখন সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডাব ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ডেঙ্গু রোগী বাড়ায় ডাবের চাহিদা বেশি। সেই তুলনায় সরবরাহ না থাকায় বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , বোয়ালমারী একটি দোকানে বড় আকারের একটি ডাবের দাম এখন ১৩০-১৫০ টাকা। মাঝারি আকারের একটি ডাব কিনতে গেলেও গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা। একদম ছোট ডাব তার দামও ৮০ টাকার ওপরে।
ক্রেতারা জানান, মূলত ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করার পর থেকেই ডাবের চাহিদা বেড়েছে। বিক্রেতারা যে দামই হাঁকছেন ডেঙ্গু রোগীর জন্য সে দামেই ডাব কিনতে বাধ্য হচ্ছেন স্বজনরা।
এই বাড়তি দামের কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাব বিক্রেতা বলেন, `বাজারে ডাব কম। কিন্তু ডেঙ্গুর জন্য চাহিদা অনেক। তাই দাম এমন বেশি।`এছাড়া প্রাকৃতিক পানীয় হিসেবে তো বটেই, রোগীর পথ্য হিসেবেও ডাবের বেশ কদর রয়েছে। সে জন্য হাসপাতালকেন্দ্রিক ডাবের একটা বড় চাহিদা আছে। ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে ডাবের নাম চাহিদা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগের কারণে সৃষ্টি হতে পারে পানিশূন্যতা। এক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে ডাবের পানি। প্রয়োজনীয় সমস্ত খনিজ ও ইলেক্ট্রোলাইটস রয়েছে এই পানিতে। তাই ডাবের পানি খেলে তা শরীরে পানির ঘাটতি দূর করতে কাজ করে।এসব ডেঙ্গু রোগীদের চাহিদা মেটাতে সাধারণত ডাব, মাল্টা, কমলা, আনারস, পেঁপে, আনারসহ তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো ডেঙ্গু রোগীদের দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দামও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে তরল খাবারের পাশাপাশি মশাপ্রতিরোধী ক্রীম, অ্যারোসল ইত্যাদি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য পথ্যের সাথে চাহিদা বেড়েছে এসব পণ্যেরও।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :