লক্ষ্মীপুর শহরে কলেজে যাওয়ার পথে কলেজছাত্রী সুবর্ণা মুনতাহা রিজমিকে মারধর ও কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত তানজীদ আহম্মেদ রিয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গেলো ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে কলেজ যাওয়ার পথে শহরের মদিন উল্যা হাউজিংয়ের সামনে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে পৌর শহরের দক্ষিণ মজুপুর এলাকার নিজ বাসা থেকে অভিযুক্ত তানজিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে কলেজছাত্রী মুনতাহাকে মারধরের ঘটনায় তার নানা আব্দুল সাত্তার ভূঁইয়া বাদী হয়ে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর মডেল থানায় রিয়ান ও তার মা তাহমিনা আক্তারের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই রিয়ানের বন্ধুরাসহ বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রিজমি ও রিয়ানের ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে চাননি মুনতাহার পরিবারের কেউই।
গ্রেফতার রিয়ান দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের প্রবাসী রাফি আহম্মদের ছেলে ও দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
ভিকটিম মুনতাহা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের প্রবাসী মুরাদ হোসেনের মেয়ে।
মামলার এজাহার ও মুনতাহার স্বজনরা জানান, রিয়ান ও তার মা তাহমিনা কৌশলে দুটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে রিজমির স্বাক্ষর নেয়। পরে রিয়ানকে রিজমির স্বামী দেখিয়ে জাল জালিয়াতি করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের এফিডেভিট করা হয়।
ঘটনার দিন কলেজ যাওয়ার পথে রিয়ান ও তার বন্ধুরা মুনতাহার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারে রিয়ান। এসময় চিৎকার চেচামেচি করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়ান তার কপালে আঘাত করে। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টাও করা হয়।
পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখা তারা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার বাদি আব্দুল সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, তার নাতনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে
রিয়ান হামলা চালিয়েছে। তিনি এঘটনার বিচার দাবি করেন।
সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন বলেন, প্রধান অভিযুক্ত রিয়ানকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে এ মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/র.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :