গত ৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে নরসিংদী সরকারি কলেজের পুকুর থেকে ফাইজুল মিয়া (১৬) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফাইজুল মিয়া শিবপুরের হোসেন মোল্লার ছেলে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো ।
কলেজ কতৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের পুকুর পাড়ের পূর্ব পাশে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজ কতৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিনই নিহতের নিজ বাড়ি শিবপুরের ভরতেরকান্দি গ্রামে দাফন করা হয়। দাফনের আগেই নিহত ফাইজুরের পিতা হোসেন মোল্লা বাদি হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা হারনুর রশিদ।
কলেজ ক্যাম্পাসের পুকুর থেকে হঠাৎ এরকম মরদেহ পাওয়ার পরেই নানা মহলে শুর হয় আলোচনা, সমালোচনা এবং গুঞ্জন। কলেজের শিক্ষার্থী না হয়েও সে কিভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলো সেটি নিয়েও নানা প্রশ্ন। অবশেষে ক্যাম্পাসের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেল আসল ঘটনা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টা ৪৪ মিনিটে পুকুরের উত্তর পূর্ব কর্ণার ধরে ফাইজুল পুকুরে নামে। হলুদ টিশার্ট পড়া অবস্থায় পানির মধ্য দিয়ে হেটে সে চলে যায় পুকুরের পূর্ব পাশে অবস্থিত ঘাটে। ঘাটের সিড়িতে বসে হাত দিয়ে পানি তুলে বেশ কয়েকবার মাথায় পানি দেয় সে। এরপর, পড়নে থাকা টিশার্ট খুলে সিড়িতে রেখে আবার পুকুরে নেমে সে চলে যায় পুকুরের দক্ষিণ পূর্ব কোনে। সেখানে পরপর দুইবার স্বাভাবিক ভাবে ডুব দেয়ার পর পানিতে হাত ছুড়াছুড়ি শুর করে। মিনিট ২ পরও পাড়ে ওঠতে না পেরে পানিতে তলিয়ে যায় ফাইজুর ।
ফাইজুর যখন তলিয়ে যেতে থাকে তখন ঘড়ির কাটা ৯ টা বেজে ৫৯ মিনিট। পুকুরে নামার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে। আর এই ১৫ মিনিটের মধ্যে পুকুর ঘাটের পাশের রাস্তা দিয়ে হেটে যায় দুইজন, ঘাটের বেঞ্চে এসে বসে আরও ৩ জন। ফাইজুরের দুর্ভাগ্য কেউই তাকে দেখতে পায়নি। শনিবার থাকায় কলেজ বন্ধ ছিলো, যার ফলে কলেজে অন্যান্য শিক্ষার্থী ছিলোনা।
একুশে সংবাদ/স.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :