চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পৌর এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের সানাউল হক নামের সহকারি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত ২৮ আগস্ট পরীক্ষা চলাকালীন এ শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে আজ রবিবার দুপুরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ সকালে এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি দল তদন্ত করতে গেলে এলাকাবাসী জানতে পেরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করে এবং বিদ্যালয়ে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে তদন্ত দল বিদ্যালয় থেকে চলে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানান,‘ঘটনার পর এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। প্রেক্ষিতে আজকে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তদন্ত করতে আসে। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘৃন্যতম ঘটনার আমরাও বিচার চাই।’
সদর মডেল থানার এস আই মাহবুবুর রহমান জানান,‘স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে, শিক্ষকের এ ধরনের ঘৃন্যতম আচরনের জন্য এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক সানউল হক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
একুশে সংবাদ/আ.ও.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :