কয়লা সংকটের কারণে গত ৩০শে জুলাই ভোর থেকে বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। কারিগরি ত্রুটি কাটিয়ে উৎপাদনে আসার ১০ দিনের মাথায় ফের বন্ধ হয় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত প্রায় সাড়ে ৯টা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
এই নিয়ে গত নয় মাসে আট বার বন্ধ হল কেন্দ্রটির উৎপাদন। এর মধ্যে ৫ বার বন্ধ হয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে, তিনবার কয়লার অভাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এবার কয়লা সংকট নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির।
এরআগে, টারবাইন (বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র) ত্রুটির কারণে গত ১৬ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। টারবাইন মেরামত শেষে ২০ জুলাই দুপুর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উৎপাদন শুরুর পর প্রথম ১৪ জানুয়ারি, এরপর ১৫ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ৩০ জুন, ১৬ জুলাই ৩০ জুলাই ও সবশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
উল্লেখ্য, রামপাল বিদ্যুৎ-কেন্দ্রটি এমন সময় বন্ধ হয়েছে, যখন তাপমাত্রার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশে এই গরমের মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা সাধারণত ১৫ হাজার মেগাওয়াট হয়ে থাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ উৎপাদন করা যাচ্ছে সাড়ে ১২ হাজারের মতো। ফলে পিকআওয়ারে প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এখন রামপাল বন্ধ থাকার কারণে আড়াই হাজার মেগাওয়াট ঘাটতির সাথে আরও অন্তত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি যুক্ত হল। যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়তে পারে গ্রামাঞ্চলের মানুষ।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :