AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তানোরে টানা বর্ষণে বন্যায় ডুবেছে আমন ধান


Ekushey Sangbad
সারোয়ার হোসেন, তানোর, রাজশাহী
০৭:৩৩ পিএম, ৫ অক্টোবর, ২০২৩
তানোরে টানা বর্ষণে বন্যায় ডুবেছে আমন ধান

টানা ভারী বর্ষণের কারণে বন্যায় রাজশাহীর তানোরে ডুবছে কৃষকদের রক্তঘামের ফসল রোপা আমন ধান। প্রায় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণ হয়েছে। যার কারণে ঘরবন্দী হয়ে পড়ে জনসাধারণ। টানা বৃষ্টির কারনে উজান থেকে আসা পানির ঢলে গ্রামীন রাস্তা ঘাট ও গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে উপজেলার চান্দুড়িয়া, কামারগা, পাঁচন্দর ও কলমা ইউনিয়ন এবং তানোর পৌরসভায় রোপা আমন ধান ডুবছে। কপালে ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের।

 

জানা গেছে, রোপা আমন রোপনের সময় বৃষ্টির পানির দেখা ছিল না। আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসেও এত পরিমান বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আশ্বিন মাসের প্রথম দিকে তেমন বৃষ্টি না হলে প্রায় ৮/১০ দিন ধরে মাঝারি ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। সবচেয়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয় বুধবার রাত প্রায় ৯ টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল প্রায় তিনটা পর্যন্ত। এ বৃষ্টিতে বিলকুমারী বিলের পানি বাড়ছে। শুধু তাই না উজান থেকে নামছে পানির স্রোত।

 

কৃষকরা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বৃষ্টি থামলেও আকাশে প্রচন্ড মেঘ। হয়তো রাত থেকেই আবার শুরু হবে পানি। যে পরিমাণ পানি হয়েছে বছরের মধ্যে এত পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। নিচের জমিগুলো ডুবে যাবে। রোপা আমনের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হবে যা আমাদের সর্বনাশ। শুধু রোপা আমনের ক্ষতি না পুকুরের মাছ বের হয়েছে প্রচুর পরিমানে। টানা বৃষ্টির কারনে সবজি খেতও ক্ষতির মুখে পড়েছে।

 

উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামারগাঁ শ্রীখণ্ডা গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, যে হারে পানি বাড়তে শুরু করেছে তাতে করে এই ইউপির রোপা আমনের ফলন পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। বর্তমানে ইউপির ১৫/২০% জমির ধান ডুবে গেছে। আর কয়েকদিন বৃষ্টি হলে এপরিমান বেড়ে কয়েকগুণ হবে। কারন আরো কয়েকদিন টানা বর্ষণ হবে বলে আবহাওয়া অফিস বলছে। ধান ডুবার সঠিক হিসেব নিতে হলে দু তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে।

 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কামারগাঁ ব্লকের কামারগাঁ ৩০ হেক্টর, মাদারিপুর ৮ হেক্টর, ছাঐড় ১৪ হেক্টর, কৃষ্ণপুর ৫ হেক্টর ও পাঁচন্দর ব্লকের মোহাম্মদ পুর ৭ হেক্টর, চাঁদপুর ১০ হেক্টর এবং চান্দুড়িয়া ব্লকের চান্দুড়িয়া ১৫ হেক্টর সিলিমপুর ৫ হেক্টর। তানোর পৌরসভায় ১১০ হেক্টর। সব মিলে ২০৩ হেক্টর রোপা আমন ধান ডুবেছে এর মধ্যে আংশিক ১৫৭ হেক্টর ও পুরোপুরি ডুবেছে ৪৬ হেক্টর। তবে কলমা ইউপির আজিজপুর, চন্দনকোঠা, কুজিশহর সহ ওই ইউপির ধান ডুবার কোন তথ্য দিতে পারেন নি কৃষি অফিস।

 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, উপজেলায় রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। তবে ধান ডুবেছে পুরোপুরিভাবে ৪৬ হেক্টর এবং আংশিক ডুবছে ১৫৭ হেক্টর জমি। অবশ্য বৃষ্টির পানি একেবারে থেমে গেলে এর সঠিক হিসেব পাওয়া যাবে। যে সব জমি ডুবেছে এবং পানি ঢুকেছে সে সব জমি থেকে তিন চার দিনের মধ্যে পানি বের হলে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু এর চেয়ে বেশি সময় পার হলে ধান হবে না।

 

একুশে সংবাদ/স.হ.প্র/জাহা

Link copied!