খুব নিকটবর্তী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শরদীয় দুর্গাপূজা। প্রকৃতিতে শরতের আগমণী আর বিস্তৃর্ণ মাঠের কাশফুল সেই বার্তাই দিয়ে চলেছে। তবে এবার শ্রাবণ মাস ‘মল মাস’ হওয়ায় দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে কিছুটা দেরিতে। দুটি অমাবস্যা হওয়া বাংলা মাসকে ‘মল মাস’ বলেন তারা। আর এমন মাকে কোন পূজাপার্বণ হয় না। এবার সিলেট জেলার ৬১৭টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, পূজোর যাবতীয় উপকরণ,পূজো, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, চন্ডীপাঠ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতী, ভজন কীর্ত্তন, আলোকসজ্জা ও ডেকোরেশনসহ নানান প্রস্তুুতি চলছে। পূজা আয়োজনকারী প্রতিটি কমিটি ও পারিবারিক পূজা উদ্যোক্তারা নান্দনিক সুন্দর আয়োজনের জন্য বিরামহীন ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
শারদ উৎসব উপলক্ষে সিলেট নগরের বিপণী বিতান গুলোতে সকাল থেকে রাত অব্দি ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। নতুন পোশাক কিনতে অনেকে ছুঁটছেন এই মার্কেট থেকে ওই মার্কেটে।
জানা গেছে, এবার সিলেট মহানগর ও জেলায় ৬১৭টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ৫৬৯টি, পারিবারিক ৪৮টি পূজোর আয়োজন হবে। নগরের ১৫১টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৪টি ও পারিবারিক ১৭টি। জেলায় ৪৬৬টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ৪৩৫টি ও পারিবারিক ৩১টি।
জানা যায়, সিলেট নগরের ছয়টি থানা এলাকায় এবার মোট ১৫১টি পূজামন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানা এলাকায় ৩৯টি, জালালাবাদ থানা এলাকায় ১৮টি, এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ৩৮টি, শাহপরান থানা এলাকায় ২৩টি, দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় ১৫টি ও মোগলাবাজার থানা এলাকায় ১৮টি।
অন্যদিকে, জেলায় মোট ৪৬৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সার্বজনীন ৪৩৫টি ও পারিবারিক ৩১টি। জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৬৬টি, বালাগঞ্জে ৩২টি, কানাইঘাটে ৩১টি, জৈন্তাপুরে ২৩টি, বিশ্বনাথে ২৫টি, গোয়াইনঘাটে ৩৯টি, জকিগঞ্জে পূজা ৯৮টি, বিয়ানীবাজারে ৫০টি, কোম্পানীগঞ্জে ২৮টি, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪০টি এবং ওসমানীনগর উপজেলায় ৩৪টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, শারদীয় উৎসবে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতিনিময় করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :