শরতের কাঁশফুল, ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আগামী ২০ অক্টোবর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ২৩২টি মন্ডপে চলছে প্রস্তুতি। দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
এ বছর ঘটকে চরে দেবী দুর্গা মর্ত্য লোকে পদার্পন করবেন। আবার ঘটকেই কৈলাশে ফিরবেন। অধিকাংশ পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর মূল কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন শুধু চলছে সাজ-সজ্জা ও রংয়ের কাজ। সীমিত পরিসরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পূজামন্ডপগুলো।
প্রতিমা নির্মাণশিল্পী প্রভাষ পাল বলেন, ‘খড়, ছন ও কাঁদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা। এখন শুধু প্রতিমা পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং তুলির শেষ আচড় দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করা হবে।’
এদিকে, শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র এখন চলছে উৎসবের আমেজ। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। যদিও এখন পর্যন্ত বিপনী বিতানগুলোতে পূজার কেনাকাটা তেমন একটা শুরু হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৩২ পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরের অনুকূলে চাল বরাদ্দের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে মন্ডপের তালিকা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত ঠাকুর জানান, এ বছর উপজেলার ২৩২টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। কাশিয়ানী সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির একটি উপজেলা। এখানে বড় ধরণের কোন ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রতিটি পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী।
কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ও যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
একুশে সংবাদ/ল.ল.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :