টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী হামিদা বেগমের বিরুদ্ধে। পরে স্বামী হায়দার আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ইদ্রিস খানের নিজবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হামিদা বেগম হায়দার আলীর প্রথম স্ত্রী।
পারিবার সূত্রে জানা যায়, হায়দার আলী শিক্ষকতা ও ইমামতি করতেন। তিনি ওই পেশা ছেড়ে ঢাকায় রেলওয়েতে চাকরি নেন। সেখানে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কলহ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে হায়দার আলী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। রাতে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামীকে পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে রাতে তার পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে পালিয়ে যান স্ত্রী হামিদা বেগম। রাতেই পরিবারের সদস্যরা প্রথমে হায়দার আলীকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী জানান, তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, ঘটনার পর থেকেই প্রথম স্ত্রী হামিদা পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তার মা-ভাইকে এরই মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :