AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানিতে ধীরগতি, কমছে রাজস্ব


Ekushey Sangbad
এনায়েত খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
০৩:৫৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩
আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানিতে ধীরগতি, কমছে রাজস্ব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর রপ্তানিমুখী হওয়ায় এ বন্দরে রাজস্ব আয়ের কোন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকে না। তবে পণ্য আমদানিতে ধীরগতির কারণে ক্রমাগত কমছে রাজস্ব আয়। এছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যও কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে সম্ভাবনাময় এ বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে উদ্যোগী সরকার।

 

১৯৯৪ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চলছে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। ভৌগলিক অবস্থানের ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করে লাভবান।

 

তবে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা আর নানা সংকটে পূর্বের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ কমে এখন দিনে এক লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে গতি নেই আমদানি বাণিজ্যেও। ফলে কমছে রাজস্ব। নতুন অর্থবছরেও আশানুরূপ বাণিজ্য হচ্ছে না বন্দরে।

 

যদিও আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য বাড়াতে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৮০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী করতে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে চারলেনের জাতীয় মহাসড়ক। যার অগ্রগতি ৫০ শতাংশেরও বেশি। তবে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বেগবান করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার পাশাপাশি সবধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ দিতে হবে।

 

আখাউড়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীন বলেন, সরকারের নীতিমালার মধ্যে আমরা আটকানো। আমরা চাই সরকার নীতিমালাটা পরিবর্তন করে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিত সকল পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হউক। কখন কোন পণ্যের চাহিদা  তৈরি হবে, সেটি আগে থেকে বলা যাবে না। সেজন্য সব পণ্য আমদানির অনুমতি প্রয়োজন, যাতে যখন যে পণ্যের চাহিদা থাকবে তখন যেন সে পণ্য আমদানি করা যায়।

 

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাণিজ্য বাড়বে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাঙ্খিত পণ্য আমদানির অনুমোদনের বিষয়টিও দ্রুত সুরাহা হবে।

 

আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়্যারহাউজ সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রায় ৮০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। যার মধ্যে ওয়্যারহাউজ থাকবে, কোল্ডস্টোর থাকবে আর থাকবে দুটি স্কেল।পাশাপাশি চারলেন মহাসড়ক নির্মাণ হচ্ছে।এই সবগুলো কাজ সম্পুর্ণ হলে আশা করছি এই বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পাবে।

 

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে কয়েক অর্থবছরের আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আয়ের চিত্র ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য। বিপরীতে আমদানি হয় ২৮৮ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য। এ থেকে সরকার রাজস্ব পায় ৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৯ হাজার ৪১০ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকা। আর আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ১৫ হাজার ২৮ টাকার পণ্য। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৬০ কোটি ৩৭ লাখ টাকার পণ্য। আর এ সময়ে আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৬ লাখ টাকার পণ্য। যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ৪৭ লাখ টাকা। বর্তমানে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট ও প্লাস্টিক পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হচ্ছে। আর আমদানি হচ্ছে ভাঙা পাথর, আদা ও পেঁয়াজ।

 

মূলত বন্দর দিয়ে এখন যেসব পণ্য আমদানির অনুমোদন আছে, তার বেশিরভাগই কম চাহিদা সম্পন্ন। ফলে এগুলো আমদানি করেন না ব্যবসায়ীরা।

 

একুশে সংবাদ/এ.খ.প্র/জাহা

Link copied!