ঝালকাঠি জেলায় আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় ১৭৭টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা হচ্ছে। জেলার মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক পূজামন্ডপ রয়েছে সদর উপজেলায় ৭৭টি এবং দ্বিতীয় অবস্থানে কাঠালিয়া উপজেলায় ৫৫টি। এছাড়াও অন্য দুটি উপজেলা নলছিটিতে ২৩ টি ও রাজাপুর উপজেলায় ২২টি পূজা মন্ডপ রয়েছে।
পূজা মন্ডপগুলিতে প্রতিমার তৈরির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। তারা দলবল নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একটির পর একটি বায়নাকৃত পূজা মন্ডপগুলিতে যাচ্ছে। কোনো কোনো মন্দিরে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করে রং তুলির আচরের অপেক্ষায় রয়েছে, আবার কেনো কোনো মন্দিরে মাটির দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। এই অঞ্চলে প্রতিমার আকার ধরণ অনুযায়ী সর্বাধিক লক্ষাধিক টাকা থেকে সর্বনিন্ম ৪০ হাজার টাকার মধ্যে প্রতিমা তৈরি করছে প্রতিমা শিল্পীরা। এ বছর মাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপাদানগুলি মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে পূর্বের চেয়ে তাদের বাড়তি মজুরি দিতে হবে।
জেলায় নির্বিঘ্নে পূজা আয়োজন করার বিষয়ে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দফায় দফায় পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীদের নিয়ে আলোচনা সভা করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় এমন কোনো পূজাকে কেন্দ্র করে অপ্রিতীকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেত্রীবৃন্দ পূজা আয়োজনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে যাচ্ছে।
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানিয়েছেন, পূজা মন্ডবে নিরাপত্তার জন্য ৪ স্তরে নিরাপত্তা বলয় রাখা হবে এবং পুলিশ প্রশাসনসহ সরকার যেকোন মূল্যে শারদীয় দূর্গা উৎসব নির্বিঘ্নে করার জন্য সব রকমের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানিয়েছেন, এ বছর সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রযুক্তিগত ব্যবহার করে পূজা মন্ডবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এজন্য প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা সংযোজন এবং মন্ডবের অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি মন্ডবে ১ লক্ষ টাকা করে বিশেষ অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :