বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম পূজা ধনসম্পদ এর দেবী ‘লক্ষ্মীপূজা’ আজ। শাস্ত্রমতে, লক্ষ্মী ধনসম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী।
শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা লক্ষ্মীপূজা উদযাপন করে থাকেন। ঘরে ঘরে লক্ষ্মী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে পূজিত হন। এ ছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। হিন্দুদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটি কোজাগরি লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সনাতন ধর্মের মানুষদের ঘরে ঘরে পূজিত হবে লক্ষ্মী। এ দিন দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর আশির্বাদ পেতে পূজা অর্চনা ও উপবাস রাখা হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে দেবীর আরাধনা করলে তিনি প্রসন্ন হন। মনে করা হয়, এদিন দেবী স্বর্গ থেকে নেমে আসেন, তার আরাধনা করলে দেবী তাকে আশির্বাদ করেন।
লক্ষ্মীপূজায় ঘরে ঘরে আঁকা হয় নানা আলপনা। এই পূজাতে মূল আল্পনার সঙ্গে বাড়ি জুড়ে আঁকা হয় ধানের ছড়া, মুদ্রা, আর মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের ছবি। এই প্রতীকগুলি পূজার মহত্ত্ব যেমন ব্যাখ্যা করে, তেমনই পূজার আচারের একটা অংশ হয়ে উঠেছে এই বিশেষ ধরনের আলপনা।
চাল, অন্ন, খাদ্যশস্য হলো লক্ষ্মীর প্রতীক। তাই যারা খাদ্য অপচয় করেন, তাদের ওপর দেবী লক্ষ্মী কখনোই তুষ্ট হন না। ধানক্ষেতের আশেপাশে ইঁদুর বাস করে এবং এরা ধানের ক্ষতি করে থাকে। পেঁচক বা পেঁচার আহার হলো এই ইঁদুর। গোলাঘরকে লক্ষ্মীর প্রতীক বলা হয়। গোলাঘরের আশেপাশে ইঁদুরের বসবাস। পেঁচা এই ইঁদুরকে খেয়ে খাদ্যশস্য রক্ষা করে। তাই লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা।
উল্লেখ, পঞ্জিকা মতে, শনিবার ভোর ৪টা ১২ মিনিট থেকে রাত ২টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত শ্রীশ্রী লক্ষ্মী পূজার সময় থাকছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :