শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো শেখ রাসেল বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা। সকালে আয়োজন শেষে খেলোয়াড়দের পুরস্কার বিতরণ করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান-বিন-মুহাম্মাদ আলী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: আমিরুল ইসলাম খান।
ক্রীড়া পরিদপ্তর এর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া অফিস। বালক এবং বালিকাদের ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ২৪টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ৯টি স্কুলের ৮৫ জন বালক এবং বালিকা অংশ নেয়। বালিকা বড় গ্রুপে ৩টি ইভেন্টে প্রথম হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামিরা আক্তার। বলিকা মধ্যম গ্রুপে ৩টি ইভেন্টে প্রথম হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় একই স্কুলের আবিদা সুলতানা। এদিকে বালক গ্রুপেও আধিপত্ত ছিলো বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের। তিনটি করে ইভেন্টে প্রথম হয়ে বড়দের গ্রুপে আবির হোসেন এবং মধ্যম গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয় আলাউদ্দিন। এই প্রতিযোগিতা থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানান, টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া অফিসার আল-আমিন।
তিনি আরো জানান, টাঙ্গাইল জেলায় সাঁতারের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক মো: কায়ছারুল ইসলাম স্যার এই বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে স্টার্টিং পয়েন্ট এবং ফিনিশিং গাইডওয়াল নির্মানের জন্য আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছেন। স্কুল কমিটির পক্ষ থেকেও পুকুর সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সাঁতার তৈরির কারিগর বিকেএসপির সাবেক ডেপুটি ডাইরেক্টর এবং জাতীয় সাঁতার কোচ মো: সোলায়মান চাকরি জীবন শেষ করে স্কুলের পাশেই নিজ গ্রামে অবসর জীবন যাপন করছেন। অবসর সময়ে এই সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ এবং দিক নির্দেশনার কারণে এরই মধ্যে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে সাঁতারুরা। সবার সহযোগিতায় অচিরেই জাতীয় মানের সাঁতারু এই অঞ্চল থেকে বের করা সম্ভব বলে জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান-বিন-মুহাম্মাদ আলী জানান, সাঁতারু তৈরির যে উদ্যোগ এবং আজকের এই আয়োজনে খেলোয়াড়দের যে উৎসাহ তা দেখে আমি মুগ্ধ। খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে জিমনেশিয়াম তৈরির সার্বিক সহযোগিতা করে খেলোয়াড়দের পাশে থাকতে চাই। এই অঞ্চল থেকে অচিরেই জাতীয় মানের সাঁতারু যেন আমরা পাই সেই প্রত্যাশা রইলো।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :