AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গাজীপুরে সংঘর্ষে আহত গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:১৬ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০২৩
গাজীপুরে সংঘর্ষে আহত গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু

শ্রমিকদের নূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত গার্মেন্টস শ্রমিক মো. জামাল উদ্দিন (৪০) মারা গেছেন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউর ৬ নম্বর বেডে মারা যান তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।

বাচ্চু মিয়া বলেন, তার বাড়ি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার ঘাসালি বাজার এলাকায়। তার বাবার নাম চান মিয়া।

উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর গাজীপুরের কোনাবাড়ী জুরুন এলাকায় পুলিশের গুলিতে জামাল উদ্দিন নামে ইসলাম গ্রুপের ওই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। এছাড়া ইসলাম গ্রুপের শ্রমিক আঞ্জুয়ারা খাতুন পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

গত ৮ নভেম্বর ঢামেকে চিকিৎসাধীন জামাল উদ্দিন বলেন, ‍‍`আমি ইসলাম গার্মেন্টসে চাকরি করি। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে আমি গুলিবিদ্ধ হই। পরে প্রথমে উদ্ধার করে আমাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে।‍‍`

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সম্প্রতি বিক্ষোভ করছেন। গত মঙ্গলবার পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বুধবার সকাল থেকে কোনাবাড়ি, জরুন ও বাইমাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে কাঠ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টা করে তারা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। শ্রমিকেরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে আঞ্জুয়ারা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং জামাল উদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

 

একুশে সংবাদ/ম.ন/জাহা
 

Link copied!