AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শ্রমিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: আ ন ম শামসুল ইসলাম


কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শ্রমিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: আ ন ম শামসুল ইসলাম

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছাড়া মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে না। আর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শ্রমিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

তিনি আজ ফেডারেনশনের বরিশাল অঞ্চলের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি আয়োজিত সেক্টর দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও অঞ্চল পরিচালক কবির আহমাদ-এর সভাপতিত্বে ও অঞ্চল সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর সভাপতি মাস্টার মিজানুর রহমান, বরিশাল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন ইয়ামিন, পিরোজপুর জেলা সভাপতি জহিরুল হক, ঝালকাঠি জেলা সভাপতি মিরাজুল ইসলাম, বরগুনা জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, পটুয়াখালী জেলা সভাপতি সাইদুর রহমান খান, ভোলা জেলা সভাপতি ইসমাইল হোসেন মনির  ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল প্রমুখ।

আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, ইসলাম ব্যতীত মানুষের মুক্তির আর কোনো ভিন্ন পথ নেই। যুগে যুগে কিছু পথভ্রান্ত মানুষ নিজেদের মনগড়া কল্প-কাহিনী লিখে মানুষের জীবনের গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছে। তাদের চেষ্টা সর্বত্র ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ রচিত মতবাদ মানুষের জীবনে সুখ শান্তি অতীতেও বয়ে আনতে পারেনি এবং ভবিষ্যতে পারবে না। মানব মুক্তির একমাত্র পথ ইসলাম। আল্লাহর দেওয়া বিধিবিধানের পূর্ণ অনুসরণের মধ্যে মানুষের মুক্তি নিহিত রয়েছে। রাসুল (সা.) আল্লাহর দেওয়া কিতাবের মাধ্যমে একটি সোনালী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যে সমাজে ধনী-গরিবের বিভেদ ছিল না। শ্রেণি বিভেদ ছিল না। মালিক-শ্রমিক সকলের মর্যাদা সমান ছিল।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি, যেখানে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমজীবী। এসব মানুষরা প্রতিনিয়ত দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের জীবনে সুখ-শান্তি দেখা দেয় না। রোজ মাথার ঘাম পায়ে না ফেললে তাদের ঘরে চুলার আগুন জ্বলে না। শ্রমিকদের এই দুর্দিনের প্রধান কারণ তারা পরিশ্রমের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরি পায় না। মালিক তার মর্জিমত মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় করে। যারা কম মজুরি নিতে চায় না তাদের পরের দিন কাজ দেওয়া হয় না। এই সমস্যা বেশি প্রকট অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে।

প্রাতিষ্ঠানিক খাতে অল্প-স্বল্প ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করার সুযোগ থাকলেও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে খুবই কঠিন করা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শর্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ করতে হবে। জেলা থেকে শুরু করে উপজেলায় পর্যায়ে প্রতিটি সেক্টরে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শ্রমিকদের দুর্দশা দূর করতে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!