নওগাঁর মহাদেবপুরের একটি চাউল চাতালের ঘর থেকে লাইলী বেগম (৪৮) নামের এক নারী শ্রমিকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
এঘটনার পর থেকে নিহত লাইলী বেগমের স্বামী আমজাদ হোসেন পলাতক রয়েছে।
নিহত লাইলী বেগম পাশ্ববর্তী মান্দা থানার কসব মধ্য পাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত লাইলী বেগম চকগৌরী ইউপি পরিষদের পাশে অবস্থিত জনৈক উজ্জল হোসেনের চাতালে কাজ করতো। মাঝেমধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো।
প্রতিদিনের মতো গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে তারা তাদের ঘরে ঘুমিয়ে পরে। আজ সকালে তাদের ঘরের দরজার বাহিরে ছিটকিনি দেওয়া দেখে অন্যদের সন্দেহ হয়। এরপর তারা তাদের খোজাখুজি করে না পেয়ে তাদের দরজার পাশের ফুটো দিয়ে দেখলে দেখতে পায় ঘরের মেঝেতে লাইলীর গলা কাটা মরদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা নওহাটা ফাঁড়ি পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেনসহ ফাঁড়ি পুলিশের এসআই জিয়াউর রহমান জিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে নিহতের মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুর ১২ টার দিকে জেলা মর্গে প্রেরণ করেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নওহাটা ফাঁড়ি পুলিশসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে পেলে এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য জানা যাবে এবং এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :