পুরোনো বছর কে বিদায় জানানোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি নতুন বছরের আগমন হেমন্তের শেষে দেশের মধ্য উত্তর শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকা সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শ্রীবরদী উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকায় শীত নামতে শুরু করেছে।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে শেরপুর জেলার সর্বত্র তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের প্রভাব পড়েছে। গত দুদিন ধরে রাত নয়টার পর থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত প্রচণ্ড কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে জেলার আকাশ। সারাদিন সূর্যের মুখ খুব একটা দেখা মিলছে না। ফলে সাধারণ মানুষ গরম কাপড় পড়তে শুরু করেছে।
এমনই অবস্থায় শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা ও উপজেলা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ইতোমধ্যে জেলা শহরের ও বিভিন্ন ফুটপাতের পাশে স্বল্পমূল্য আয়ের মানুষের জন্য পুরাতন ও কম মূল্যের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে লক্ষ্য করা গেছে। সেইসঙ্গে জেলা উপজেলা শহরের বিভিন্ন অভিজাত দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
শীতের শুরুতেই গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়
শেরপুর শহরের বিভিন্ন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানায়, এবার শীতের শুরুতেই তারা নতুন নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন সোয়েটার, ব্লেজারসহ বিভিন্ন শীতের পোশাক মজুদ করেছেন। শীতের প্রভাব আরেকটু বাড়লেই বেচাকেনা ভালো হবে বলে তারা আশা করছেন। ভায়াডাংগা বাজারে এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান , শীতের নতুন নতুন পোশাক দোকান এ আনা হয়েছে, বেচাকেনা হচ্ছে ভালো আরো বাড়বে বলে আশা করছে।
এদিকে সাধারণ ক্রেতারা জানায়, এমনিতেই বিভিন্ন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে তারা আর্থিক সংকটে রয়েছে। ফলে শীতের কাপড় কিনতেও হিমশিম খাচ্ছে তারা। অন্যান্য বছরের চাইতে এবার শীতের পোশাকের মূল্য অনেক বেড়েছে বলে ক্রেতারা জানান।
তবে ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারও এবারে শীতের পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় তাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই তাদেরও বাড়তি মূল্যে শীতের কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :