কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের বাজারের স্বস্তি এনেছে ফরিদপুরের মুড়িকাটা পেঁয়াজ। শীতকালীন স্বল্প সময়ে আবাদ হয় এই পেঁয়াজ। রোপণের মাত্র দেড় মাসেই ঘরে তোলা হয় এটি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার একটু দেরিতে বাজারে উঠতে শুরু করেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ।
প্রতিবছর চলতি মৌসুমে সারাদেশে পেঁয়াজের সংকট লাঘবে ভূমিকা রাখে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। এই মৌসুমে পেঁয়াজ ঘরে তোলার সময় বৈরী আবহাওয়ায় ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ বন্ধের ঘোষণায় পেঁয়াজের বাজারে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়। বাজারের এই ঊর্ধ্বগতির নিয়ন্ত্রণে স্বস্তি দেয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ। গত ৩ থেকে ৪ দিন আগে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সেটি এখন কমতে শুরু করেছে।
ফরিদপুরের চাষিরা তাদের উৎপাদিত শীলকালীন পেঁয়াজটি পাইকারি বিক্রয় করছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। যা খুচরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় ।
ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিরা জানান, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই উচু জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করি। তবে এই মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে। বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। তাদের দাবি, পাইকারি পর্যায়ে আমার ৬০ থেকে ৭০ টাকা পেলে লাভবান হবো।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, এবার জেলায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করেছে। যা থেকে লক্ষ্য মাত্রা ছিলো এক লাখ মেট্রিকটন। কিন্ত বৈরী আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কিছুটা কমেছে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :