সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অনেক মাঠেই কৃষকেরা সরিষা ফসলের বেশী হারে ফলনে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ স্প্রে করছেন।
এদিকে মৌখামারীরা বলছেন শেষ বিকেলে সরিষা ফসলে এ ঔষধ স্প্রে করা হলে তাদের মৌখামারের ক্ষতি হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো তথ্যে জেলার মধ্যে উল্লাপাড়ায় সবচেয়ে বেশী পরিমাণ জমিতে সরিষা আবাদ হয়। এবারেও তাই হয়েছে। এবারে গোটা উপজেলায় ২৩ হাজার ৬১১ হেক্টর পরিমাণ জমিতে সরিষা ফসলের আবাদ হয়েছে। সব মাঠেই সরিষায ফুল এসেছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে বলতে গেলে হলুদের মেলা বসেছে। বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা সরিষা ফসলের ফলন বেশী হারে ফলনের আশায় বিভিন্ন কোম্পানীর ভিটামিন জাতীয় ঔষধ স্প্রে করছেন।
উপজেলার জগজীবনপুর, শহরিয়ারপুর, খাদুলী, কাশেম বিল, ধরইলসহ আরো কটি মাঠে কৃষকদেরকে সরিষা ফসলে ভিটামিন ঔষধ স্প্রে করতে দেখা গেছে। পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের ভেটুয়াকান্দি মাঠে কৃষক সোহরাব প্রামানিক নিজ আবাদের প্রায় দুবিঘা জমির সরিষা ফসলে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ স্প্রে করেন। প্রতিবেদককে বলেন বেশী হারে ফলন মিলবে বলে এ ঔষধ স্প্রে করলেন। তিনি এলাকার কীটনাশক দোকানীর পরামর্শে এ ঔষধ স্প্রে করছেন বলে জানান।
এদিকে উত্তরবঙ্গ মৌ চাষী সমিতির সাবেক সভাপতি আশার আলো মৌখামারের মালিক আঃ রশিদ বলেন বেশীর ভাগ কৃষক দিনের মধ্য বেলায় এ ঔষধ স্প্রে করেন। এতে মাঠে বসানো খামারের মৌমাছির ক্ষতি হয়ে থাকে। দিনের শেষ বিকেলে ঔষধ স্প্রে করলে মৌমাছির ক্ষতি হয়না। কেননা সে সময় মৌমাছি খামারে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী বলেন সরিষা ফসলে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার খুব করে
দরকার হয় না। তার বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ভিটামিন হোক আর কীটনাশক ঔষধ হোক শেষ বিকেলে কিংবা সকাল নয়টার আগে সরিষা ফসলে স্প্রে করতে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করেছেন। এতে মৌমাছির ক্ষতি হবে না বলে তিনি মনে করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :