নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর পক্ষে জনমত-গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী- সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ ও পথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। তীব্র শীত উপেক্ষা করে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে । দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে করছেন পথসভা।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের জরমনদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, পাঁচপীর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ-পথসভা করেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এ প্রার্থীর প্রতিটি পথসভা রূপ নিচ্ছে জনসভায়।শামীম পাটোয়ারীকে জয়ী করতে সুন্দরগঞ্জবাসী সংঘবদ্ধভাবে কাজ করছে। তার নারী সমর্থকরাও গ্রামগঞ্জে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। লাঙ্গলের প্রার্থীর পক্ষে জনমত-গণজোয়ারের কারণ জানতে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী একজন মানবিক নেতা। তিনি এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবায় দুটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দিয়েছেন। পাশাপাশি তার নিয়োগ করা একজন এমবিবিএস ডাক্তার রুটিনমাফিক নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এছাড়া তিনি নদী ভাঙন রোধসহ এলাকায় দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছেন। তার গৃহীত জনকল্যাণমুখী বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পুনরায় তার এমপি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ভোটাররা। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তৃণমূল ভোটারদের সমর্থন-ভালোবাসার মাধ্যমে একজন নেতা-জনপ্রতিনিধি বেঁচে থাকে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে রাজনীতি করে আসছি। নিজের সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে জনগণের জন্য কাজ করেছি। সবসময় তাদের পাশে থেকেছি। আগামী ৭ জানুয়ারি সর্বস্তরের মানুষ ভোট দিয়ে লাঙ্গলের বিজয় নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সুন্দরগঞ্জে দীর্ঘতম তিস্তা সেতুর কাজ প্রায় শেষের পথে। নদী শাসনের জন্য এক হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ আনতে পেরেছি। নদী রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলমান। উপজেলার ৪০০টি মসজিদ ও ৫০টি মন্দিরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন, হাসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীছাউনি নির্মাণ ও বামনডাঙ্গার মোহনা পাঠাগারটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
পাশাপাশি নদী রক্ষায় তিন হাজার কোটি টাকার ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) প্রণয়ন করা হয়েছে। নির্বাচিত হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত হলে অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষা-কর্মসংস্থান খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা হবে।
সর্বোপরি জনকল্যাণে সারা জীবন কাজ করে যেতে চান এই নেতা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :