আমি ২০২৩ সালে পাবনা জেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষায় চতুর্থ শ্রেণী থেকে অংশগ্রহণ করে পাবনা জেলার মধ্যে ট্যালেন্টপুলে প্রথম স্থান অর্জন করেছি। অনুভূতিটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছি আমি।
সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলির শ্রম আর বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা সহযোগিতা আর সবার দোয়া ছিলো বলেই আজ আমার এ সফলতা।
একুশে সংবাদ. কমকে কথাগুলো বলছিলেন, পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া হারোপাড়ার আব্দুল আজিজ ও নাসিমা সুলতানা দম্পতির একমাত্র ছেলে রিহাদ আল-নিহাল।
পাবনা জেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সর্বমোট ৯৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ট্যালেন্টপুলে প্রথম স্থান অধিকার করে নিহাল। উল্লেখ্য সে ২০২২ সালের তৃতীয় শ্রেণীতেও বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ট্যালেন্টপুলে জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়।
আবেগভরা কণ্ঠে নিহালের পিতা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘সন্তানের প্রাপ্তিই আমার প্রাপ্তি। তাই খুবই ভালো লাগছে। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আসলে একার প্রচেষ্টায় ভালো ফলাফল হয় না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এটি সম্ভব হয়েছে।
বড়াল কিন্ডার গার্টেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অবস্থিত। ২০২৩ সালে বৃত্তি পরীক্ষায় ১৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। তার মধ্যে ৬৯ জন বৃত্তি লাভ করেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, পরীক্ষায় ভালো ফলসহ নানা কারণে নজর কেড়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য পাওয়া বিদ্যালয়টি।
বড়াল কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমরা ১৫ জন শিক্ষকই আন্তরিকতার সাথে ক্লাস নিই। বাচ্চাদের সাথে আমরা বন্ধুর মতো আচরণ করি। আমাদের দেখে তারা যেন ভয় না পায়, সেদিকে সব সময় খেয়াল রাখা হয়। মেধাবী ছাত্র নিহাল গোটা ভাঙ্গুড়া ও পাবনা জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে।
বড়াল কিন্ডার গার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি পাবনা-৩ আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন একুশে সংবাদ. কমকে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সার্বিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে এটি সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রান্তিক যোগ্যতাসম্পন্ন বিদ্যালয়টিকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :