ঢাকার ধামরাইয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ধামরাই থানায় মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ করেন তার ভাগ্নে মো. আমিনুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন- বদরুল সরদার (৪৫), পলান আলী (৪৩), মো. আরমান, মনসুর (৪০), মো. সবুজ (২৪), লোকমান ও আ. মজিদসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জন। তারা সবাই ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মাখুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ক্রয় সূত্রে ধামরাইয়ের বড় কুশিয়ারা মৌজার ১২৫ ও ৩৯৬ দাগের ২৬৫ শতাংশ পুকুরের মালিক ওই মুক্তিযোদ্ধা। তার পক্ষে পুকুরটিতে গত ৩ আগস্ট চার লাখ ৪৫,০০০ টাকার মাছ ছাড়েন তার ভাগ্নে। এছাড়া গত ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকার খাবারসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় করা হয়েছে পুকুরটিতে। অভিযুক্তরা দীর্ঘ দিন ধরেই ওই পুকরটি নিজেরা নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পুকুর লিজ না দিলে ক্ষয়ক্ষতির হুমকিও দিয়ে আসছিল। এরই জেরে গত ১৩ জানুয়ারি ভোর রাতে পুকুরের নিরাপত্তারক্ষী মো. মাসুদ রানা দেখতে পান ১-৬ নম্বর অভিযুক্ত প্লাস্টিকের সাদা বোতলে তরল জাতীয় পদার্থ (বিষ) পুকুরে ছিটিয়ে দিচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষী তাতে বাধা দিতে গেলে তাকেও ওই তরল পদার্থ পান করানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। তিনি বাঁচার জন্য চিৎকার করলে অভিযুক্তরা তাকে মারধর করে তার মুঠোফোন কেড়ে নেন ও তার কাছে থাকা ১,২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অভিযোগকারী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সকালে পুকুরে গিয়ে দেখি বিষের প্রতিক্রিয়ায় পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে গেছে। এতে অন্তত দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। যাহোক, সেখান থেকে আসার পর জানতে পারি ১-৬ নম্বর অভিযুক্তসহ আরও ৫-৬ জন মিলে মরা মাছগুলো ধরে এনে বাজারে বিক্রি করছে। বিষ প্রয়োগে মৃত মাছ বিক্রির খবর শুনে এতে ক্রেতাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে বলে আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত আইনের আশ্রয় নেই।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করতে দিয়েছি। আসল ঘটনা কি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :