চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা নেমেছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে, এতে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে। গতকাল সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯. ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চা বাগান, পাহাড়ী এলাকা ও হাওরবেষ্টিত এ উপজেলায় দিন-রাত বইছে হিমেল হাওয়া। জেঁকে বসেছে ঘন কুয়াশা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্য উঁকি দিলেও উত্তাপ ছড়াতে পারছে না।
এতে নাকাল হয়ে পড়ছে জনজীবন। দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। উপজেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগ। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিপ্লব চন্দ্র দাশ জানান, গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রির ভেতরে ওঠানামা করছিল। গত সপ্তাক থেকে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমছে। গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রিতে ছিল।
আজ বুধবার আবার ৯. ৬ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিস জানান, আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ৯. ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলছে। হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে প্রচণ্ড শীত পড়েছে।
এবারের শীত মৌসুমে শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। এর আগে ১৬ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রি এবং ১৯ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে তিনি জানান। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মোঃ মহসিন মিয়া মধু বলেন, ইতোমধ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ৫ শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে, আরও চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এছাড়া উপজেলা অফিসার ক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :