AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তীব্র শীতে কাপছে ভূরুঙ্গামারী, পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই শীত বস্ত্রের


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০১:১১ পিএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
তীব্র শীতে কাপছে ভূরুঙ্গামারী, পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই শীত বস্ত্রের

উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঘনকুয়াশার সাথে  কনকনে ঠান্ডায় হাড় কাঁপানো তীব্র  শীতে কাপছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা। " মাঘের শীতে বাঘ কান্দে" প্রাচীন এই গ্রাম‍্য প্রবাদ আজ বাস্তবে রুপ নিয়েছে। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও চরাঞ্চলের ছিন্নমুল মানুষজন মানববেতর জীবন যাপন করলেও পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের বরাদ্দ নেই বলে জানাগেছে।

এদিকে  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহওয়া দপ্তরের ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি ) দুপুর পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশার চাঁদরে ঘেরা গোটা উপজেলা। বৃষ্টির মত টপ টপ করে পড়ছে কুয়াশা। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডায় যুবুথুবু মানুষের পাশাপাশি নিদারুণ কষ্টে আছে প্রাণীকুল। গত সাত দিন যাবত ভূরুঙ্গামারীর আকাশে সূর্যের দেখা নেই। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি হওয়ায় ঠান্ডা আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। স্বেচ্ছায় ঘর বন্দি হয়ে পড়ায় রাস্তা-ঘাট অনেকটাই ফাঁকা। এতে শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। 

দৈনিক ২০০ টাকা জমাতে ভারায় অটো রিক্সা চালান আব্দুল মজিদ। তিনি জানান, দুপর হয়েছে এখন পর্যন্ত ভাড়ার জমার টাকা আয় হয়নি। বাজারে মানুজন কম।

উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের রোকেয়া বেগম (৬৫) জানান, প্রচণ্ড শীতে কষ্টে আছি। একটা কম্বল দিয়েও কেউ সাহায্য করেনি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ত্রাণ ও দূর্যোগ শাখা সূত্রে জানাযায়, শীতবস্ত্র  হিসেবে  প্রথম ধাপে ৪ হাজার ও দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন‍্য সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র হিসেবে মাত্র ৬ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়ায় বিষ্মিত হয়েছেন ভূরুঙ্গামারীর সচেতন মহল। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা বেগম মিরা জানান, উপজেলার বিশাল এই জন গোষ্ঠীর জন‍্য সরকারি ভাবে মাত্র ৬ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া সত্যি দুঃখজনক। আমাকে ১০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। যা আমি ১০ ইউনিয়নে ভাগ করে বিতরণ করেছি। অনেক দরিদ্র লোকজন প্রতিদিন বাড়িতে এসে ফিরে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস জানান, উপজেলায় সর্বমোট ৬ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ৫ হাজার কম্বল জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ১ হাজার কম্বল দুই একদিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

একুশে সংবাদ/এস কে 

Link copied!