কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলোতে ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদনহীন প্রসাধনী ও শিশু খাদ্য কারখানা গড়ে উঠেছে ।
এসব কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকলে ও দেদারছে তৈরী হচ্ছে নিম্ন মানের গোসলের, হাত ধোয়াঁর সাবানও ডিটারজেন্ট পাউডার, শিশু খাদ্য ঝাল মুড়ি চিপস ।
প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এসব কারখানার উৎপাদিত প্রসাধনী ও খাদ্য খেয়ে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাইসহ পেটের পীড়া দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
নামে-বেনামে যত্রতত্র এসব কারখানার পণ্য বিক্রি করে কারখানার মালিকরা লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব । পাশাপাশি ভোক্তারা হচ্ছে প্রতারিত ।
সরেজমিনে কুলিয়ারচরের বাজরা, আগরপুর, দাড়িয়াকান্দি, গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি কারখানায় সাবান ও শিশু খাদ্য তৈরী করে বাজারজাত করছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ।
এছাড়া আগরপুর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন রাফি সোপ নামে একটি সাবান ও ডিটারজেন্ট কারখানার উৎপাদিত এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা । কিন্ত সাবান তৈরীতে কোন কারখানায় কেমিষ্ট নেই । শুধু তাই নয় অনেকেই আবার একটি পণ্যের জন্য বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে তারা একাধিক পণ্য তৈরী করে শুভঙ্করের ফাকিঁ দিচ্ছে ।
গোবরিয়া আবদুল্লাহপুরের জাফরাবাদ মোড়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মানিক মিয়ার কারখানায় তৈরী হচ্ছে ঝালমুড়ি ও চিপস । এসব কারখানার উৎপাদিত প্রসাধনী ও শিশু খাদ্য দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এসব বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানান, এসব কারখানার সাবান ব্যবহার করে শরীরে চুলকানি হয় । হাতের চামড়া খসখস করে । আর শিশু খাদ্য খেয়ে প্রায়ই শিশুরা পেটেরপীড়াসহ নানা অসুখে ভোগে । তাই এসব কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে যেন প্রশাসন কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয় ।
এ বিষয়ে মানিক মিয়া জানান, আমার ঝালঁমুড়ি ও চিপস তৈরী করতে আমাকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আবুল কাসেম সহায়তা করেন । আমার বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন নাই ।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :