AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানায় চলতি মাসে শুরু হবে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন


Ekushey Sangbad
সাব্বির হোসেন, পলাশ, নরসিংদী
০৬:৩৬ পিএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানায় চলতি মাসে শুরু হবে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন

দেশে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বাড়াতে নরসিংদীর পলাশে নির্মিত হয়েছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা। আর এই সারকারখানা চলতি মাসেই বানিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাচ্ছে। 

বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পের একটি হলো এই  ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রজেক্ট। যার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। আর বছরে উৎপাদন হবে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। এতে করে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে নরসিংদী জেলা তথা পুরো বাংলাদেশ। 

২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারকারখানায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে সার কারখানাটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কিন্তু গ্যাস সংকট ও কারিগরি জটিলতার কারণে কিছুদিন পরীক্ষামূলক উৎপাদন হয়ে পরে বন্ধ থাকে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর ১৫ জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যার দিকে দেশের এই বৃহৎ সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়েছে। 

একুশে সংবাদ ডট কম প্রতিনিধিকে তথ্যটি নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক মো. রাজিউর রহমান মল্লিক বলেন, চলতি মাসের ২৮ জানুয়ারি সার কারখানাটি পুরোদমে বানিজ্যিকভাবে সার উৎপাদনে আসবে। এছাড়াও সারকারখানার ভিতরে রেললাইনের কাজ শুরু হয়েছে। টেন্ডার করার পর সারকারখানা বাহিরেও  রেললাইন করার কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের ১০ মার্চ। শেষ হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। নির্ধারিত তারিখের আগেই সার কারখানাটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে সক্ষম হন কর্তৃপক্ষ। কারখানাটি উৎপাদনে এলে এখান থেকে পাওয়া যাবে বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। আমদানি নির্ভরতা কমে ৫ ভাগের ১ ভাগে নেমে আসবে। বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। আধুনিক আর পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে কারখানাটি। 

কারখানাটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছেন জাপানের মিটসুভিসি হেবি ইন্ডাস্ট্রিজ ও চায়না প্রতিষ্ঠান সিসি সেভেন। এটি নির্মাণে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশে যত সার কারখানা আছে, তাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড অর্থাৎ যে গ্যাসটা পরিবেশকে দূষিত করে, সেই গ্যাস আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

শুধু সার কারখানা নয়, দেশের সবগুলো পাওয়ার প্লান্টেও এই দূষিত গ্যাসগুলো আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এটিই বাংলাদেশের প্রথম সার কারখানা হবে, যেখানে দূষিত গ্যাসগুলো আকাশে ছেড়ে না দিয়ে ধরে প্রজেক্ট প্রসেজের মধ্যে এনে অতিরিক্ত ১০ ভাগ ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হবে। সম্মিলিতভাবে লেটেস্ট টেকনোলজি ব্যবহার করার প্রেক্ষিতেই প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার তৈরি করা হবে। 

একুশে সংবাদ/এস কে 

 

Link copied!