বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী স্টীল ব্রীজ হয়ে চৌধুরীকাছাড়ি তেতুলবাড়িয়াহাট অভিমূখী ঢেউয়াতলা পর্যন্ত সড়কটির কর্পেটিং কাজ চলছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ৬ হাজার ২শ মিটারের কার্পেটিং সড়ক মেরামতের মাঝপথে সড়কটির বিভিন্ন স্হান খালে বিলীন হতে চলেছে। একদিকে রাস্তা নির্মান,সংস্কারের কাজ চলছে অন্যদিকে কয়েকটি স্হান ভেঙে খালে বিলীন হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই রাস্তাটির অন্তত চারটি স্থান খালে দেবে গেছে। এজন্য ঐ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। খালে পানি প্রবাহ শুরু হলে খালের পূর্বপাড় ভাঙতে শুরু করে।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে বারইখালী স্টীল ব্রীজ হয়ে চৌধুরীকাছাড়ি তেতুলবাড়িয়া হাট অভিমূখী ঢেউয়াতলা পর্যন্ত এই সড়কটি গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ এবং ঘুর্ণিঝড় আম্পান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পল্লীসড়ক অবকাঠামো পূর্নবাসন দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার অধিক ব্যায়ে এ সড়কের কার্পেটিং এর কাজ শুরু করেছিল। গত বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই রাস্তার কাজ চলমান।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলা ও বন্দরে হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থানের যোগাযোগ মাধ্যম রাস্তাটি। প্রতিনিয়ত ভাড়ায় চালিত শত শত মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান, মটরভ্যান, মালামাল বহনকারী ট্রাক চলছে দুই উপজেলায় সংযোগ সড়ক এটি। জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়ক পার হয়ে বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন, তেতুলবাড়িয়া বাজার, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন, ঢেউয়াতলা বাজারসহ ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। ইউনিয়ন ভুমি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,দাখিল মাদ্রাসা, কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ, মসজিদ, মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা রয়েছে এই সড়কে,স্হানীয়রা বলছেন এভাবে যদি রাস্তা প্রতিনিয়ত খালে বিলিন হয় তাহলে রাস্তা সংস্কার করে কি হবে।
এলজিইডির মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, সম্পতি রাস্তাটির কয়েকটি অংশ ভেঙে খালে বিলীন হচ্ছে,সেইসব অংশে পাইলিং করে ভাঙন রোধ করা হবে,এলজিইডি ভাঙা অংশের পাইলিং করে কার্পেটিং করবে, ভাঙা অংশের পাইলিং করার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।
সর্বোপরি ভাঙা অংশের মেরামত ও খালের ভাঙন রোধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :