নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব হাইওয়ে থানার সীমানায় বারৈচাবাসষ্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা ভ্যানগাড়ি চালক আঃ হাসিম (৪০) কে মারধোর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি)সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আঃ হাসিম গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান, আমি প্রতিদিনের মতো সবজি বিক্রি করতে বারৈচা বাসষ্ট্যান্ডে আসলে আমার ভ্যানগাড়িতে থাকা সবজি নামিয়ে দিয়ে আমার বিভাটেক হাইওয়ে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি ভ্যানগাড়িটি রেখে তার নিকট গেলে আমাকে বিভিন্নভাবে গালগালি ও মারধোর করে। একপর্যায়ে আমার নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা দাবি করে। অন্যথায় আমার গাড়িটি থানায় নিয়ে যাবে। এরপর আমার গাড়িটি পুলিশ নারায়ণপুর এলাকার বাগানবাড়িতে নিয়ে যায় আমাকে জানায়, ৩ হাজার টাকা দিয়ে গাড়িটি ফেরত আনতে হবে।
এদিকে বারৈচা বাসষ্ট্যান্ড এলাকার সি.এন.জি চালক মোঃ আইনুল (৩২) অভিযোগ করে জানান, বারৈচা বাসষ্ট্যান্ড থেকে ভৈরব পর্যন্ত ৭০টি সিএনজি চলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাসিক চাঁদা দিয়ে। মাসিক চাঁদা কেউ দিতে না পারলে ভৈরব হাইওয়ে থানার সোর্সের মাধ্যমে গাড়ি ধরে নিয়ে মারধোর করে ও ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে। অথচ সরকারীভাবে কোন মামলার রিসিট না দিয়ে এভাবে চাঁদাবাজি করে আসছে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
নারায়ণপুর এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ বাছেদ মিয়া সংবাদকর্মীদের জানান, এই ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। নারায়ণপুর এলাকার বাগানবাড়িতে চেকপোস্টের নামে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজির বিষয়ে ইতিপূর্বে আমরা ব্যবসায়ী-শ্রমিক মিলে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন করেও কোন প্রতিকার পায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাগজপত্র দেখানের নাম করে বিভিন্ন গাড়ি অনুযায়ী ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিতে কেউ অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। বারৈচা এলাকারশ্রমিক নেতা পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি জানান, ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের চাঁদাবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ। আজকেও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের এক বিভাটেক চালককে মারধোর করেছে। হাইওয়ে পুলিশের এরকম অসহনীয় কার্যক্রমে জনগন তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ। মাসিক চাঁদা দিয়ে চলছে সিএনজি।
নরসিংদী ট্রাক ও মালিক পরিবহন সমিতির সাধারন সম্পাদক জাকির মৃধা জানান, শুনেছি বারৈচা থেকে ভৈরব পর্যন্ত মাসিক চাঁদা দিয়ে চলছে সিএনজি। এটি সম্পূর্ন বন্ধ করা উচিত। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশ সৃষ্টি হয়েছে জন সাধারনের দুর্ভোগ কমানোর জন্য। কিন্তুু আজ তারাই হয়েছে জনগনের দুর্ভোগের কারন। শুধু ইটাখোলাই নয় সারা বাংলাদেশে এইরকম ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ভৈরব হাইওয়ে থানার ও.সি সাজু মিয়ার নিকট এ বিষয়ে জানতে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি জানান, আমি বাগানবাড়িতে এই মূহুর্তে যাচ্ছি। বিষয়টি দেখে পরবর্তীতে আপনাকে জানানো হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :