রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা বাড়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো। বাদ যায়নি কিন্ডারগার্টেনগুলোও। এদিকে শীতের কারণে রাজশাহীর ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এমন অবস্থায় আবহাওয়া অফিস বলছে, কমতে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রাজশাহীতে গেল সাত দিনের আবহাওয়ার গতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ থেকে ২১ ডিগ্রির ঘরে। সর্বশেষ সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।
এমন অবস্থায় তীব্র শীতের কারণে জীবন-জীবিকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। তাদের জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা সড়কে নামতে হয়েছে কাজের সন্ধানে।
গত ১৬ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। তারপরের দিন ১৭ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। এছাড়া ১৮ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। ১৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। এছাড়া ২০ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। গত রোববার (২১ জানুয়ারি) রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।
রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা বাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী জেলায় ১ হাজার ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ৮০০ কিন্ডারগার্টেন স্কুলও বন্ধ রয়েছে। তীব্র শীতের কারণে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকবে। তবে বিদ্যালয়গুলোতে যথারীতি অন্য কার্যক্রম চালু থাকবে।
শীতজনিত রোগীর বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে শিশু ও বৃদ্ধদের বেশি যত্ন নিতে বলা হচ্ছে। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডগুলোতে হিটারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, আকাশ পরিষ্কার আছে, সকাল ৯টার পরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমলে বেশি শীত হবে। অপর দিকে শীত থেকে রক্ষার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্বল বিতরণ করেছে। তবে বিভিন্ন এলাকার শীতার্থদের দাবি শীত নিবারণের জন্য তাদের কম্বল প্রয়োজন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :