শেরপুরের এক পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২২জানুয়ারি) জেলা সদর ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের অনেকেই জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতদের স্বজনরা জানায়, শেরপুরের সদর ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় দুই ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের মোট ৪০ জন পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে সদরের গাজীরখামার ও নালিতাবাড়ীর কলসপাড় এলাকায় একটি কুকুর অস্বাভাবিকভাবে এদিক-ওদিক দৌড়াতে থাকে। একপর্যায়ে কুকুরটি যাদেরকে সামনে পায় কামড়ানো শুরু করে। এরপর এলাকাবাসী ধাওয়া করলে কুকুরটি পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এক রোগীর স্বজন হেলাল বলেন, ‘আমার দাদী বাড়ীর বাইরে বের হইলে পাগলা কুকুড় এসে তাকে কামড়ে দেয়। আমাদের এলাকায় আরও ৪০ জনকে কামড় দিয়েছে।’
আরেক রোগীর স্বজন সোলায়মান বলেন, ‘আমার বাবা ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিল। সেখানেই কুকুরটি তাকে কামড় দিয়েছে।’
রোগী রোকেয়া বলেন, ‘আমি বাড়ির বাইরে হাঁটছিলাম। তখন কুকুড় এসে আমাকে কামড় দেয়। হাসপাতালে এসে শুনি টিকা নেই। দোকান থেকে টিকা কিনে দিতে হচ্ছে।’
জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এই মুহুর্তে আমাদের হাসপাতালে কুকুড়ের কামড়ের টিকার সরবরাহ নেই। আগামী সপ্তাহে সরবরাহ আসবে। তখন তাদেরকে সরকারিভাবে টিকার ব্যবস্থা করা হবে। তবে এখন ৪ জন মিলে ৬০০ টাকা করে টিকা কিনে আনছে তা আমরা দিয়ে দিচ্ছি। কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে অনেকেই শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ম.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :