দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যও কিনতে হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও ভরা মৌসুমে বাজার পূর্বের মত একই। চলতি মাসের শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও বাজারে এসবের দাম কমেনি!
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি ) ভোলার কাঁচা বাজার ও কিচেন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের শুরু থেকে অধিকাংশ শীতকালীন সবজির দাম চওড়া রয়েছে। এছাড়া আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল।
বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না, ৫০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৭৫ টাকা,এছাড়া পাকা টমেটোর কেজি ৬০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৮০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ১১০ থেকে ৮০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৮০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৩০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৫০ টাকা ও পেঁপে ৫০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৬০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৭০ - ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, গাজর ৫০-৪০ টাকা, শসা ৫০-৪০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৫০ টাকায়।প্রতি কেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৬০- ৪০ টাকা, লাউ-কুমড়া আকার অনুযায়ী পিস ৫০- ১০০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ২০-৩০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা মুটা বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এছাড়া শোল মাছ প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, মলা মাছ ৩০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে খুচরা বাজারে ভরা মৌসুমেও সবজির এমন দাম বিগত বছরগুলোর রেকর্ড সর্বোচ্চ। এতে যেমন বিরক্ত ক্রেতা, তেমনই বিরক্ত বিক্রেতারাও। ভরা মৌসুমে সবজির সরবরাহ থাকলেও বর্তমান দাম অযৌক্তিক বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।সবজির পাশাপাশি বাজারের অধিকাংশ পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা ক্রেতা। বর্তমানে প্রতি কেজি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা এবং গরুর মাংস ৭০০ টাকা। এক ক্রেতা বলেন, মাছ মাংস যেটাই ধরি সেটির দামই আগুনের মতো। মধ্যবিত্ত দূরে থাক, নিম্নবিত্তের তো কেনার প্রশ্নই আসে না।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :