AB Bank
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ট্যূর কে  কেন্দ্র করে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা


ট্যূর কে  কেন্দ্র করে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কোর্স ট্যূরের আয়োজনকে কেন্দ্র করে বাস ফেরার পথে পথিমধ্যে  হামলার ঘটনা ঘটেছে।  একই বিভাগের শিক্ষার্থী কর্তৃক এবং কয়েকজন বহিরাগত মিলে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

২৩ শে জানুয়ারি (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের এফআইকিউসি থেকে কোর্স ট্যূর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসার সময় রাত ১১ টার দিকে নোয়াখালীর দত্তেরহাটে এলাকায়  এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কোর্স ট্যূর  আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  বিভাগের  কয়েকজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র দের পক্ষ থেকে পরস্পরের মধ্যে  সমাধান করে দেওয়া  হয়েছে বলে  জানা গেছে।

এ ঘটনায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল হক তুহিন ও মৎস ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী তারেক রহমান ইমন বিরুদ্ধে বাসে হামলার   অভিযোগ উঠেছে।

বাসে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী মেয়েরা জানায়, কয়েকজন ছেলে তাদের ছেলেদের উপর হামলা করে। বাজেভাবে গালিগালাজ ও করে। এমনকি ক্যাম্পাসে গিয়ে মুখ খুললে পরবর্তীতে দেখে নিবেও বলে হুমকি দেয়।

বাস সুপারভাইজার বলেন, চৌরাস্তা থেকে প্রত্যেকটা জায়গায় আমরা তাদেরকে নামিয়ে দিচ্ছি। একইভাবে তাদের একজন দত্তেরহাট নামবে বললে গাড়ি থামানো হয়। গেট খোলার পর দেখি কয়েকজন গাড়িতে উঠে মারামারি শুরু করে।

ট্যুরের দায়িত্বে থাকা বিভাগের শিক্ষকদের একজন সহযোগী অধ্যাপক এ.এফ.এম আরিফুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে ফিল্ড যাওয়ার পর যখন আমরা নোয়াখালী ফিরতেছিলাম তখন শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে গেয়ে ও নাচতে নাচতে আসতেছিলো।কারো মাঝে কোনো ঝামেলা,বা ঝগড়া বিবাদ দেখা যায়নি ট্যুরে গিয়ে ও আসার সময়। আমি মাইজদী বাজার ক্রস করার সময় নেমে যাই। নামার আগে তাদের সাথে কথা বললে তারা সবকিছু সঠিকভাবে করবে বলে সম্মতি দেয়। কিন্তু হটাৎ করে এমন ঘটনা ঘটবে কখনো আশা করিনি। এফআইকিউসিতে ও তাদের এমন কোনো মনোভাব দেখিনি। পরবর্তী ছাত্ররা ফোন দিয়ে বললে রীতিমতো আশ্চর্য হই। বিভাগে গিয়ে তাদের সাথে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবো।

অভিযুক্ত একই বিভাগের (১৫ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী তারকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডিপার্টমেন্ট থেকে স্যার আমাকে ক্লাস প্রতিনিধি হিসেবে ট্যুর এরেন্জ করার দায়িত্ব দেন। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে কাজ করি। নাসির বা তার  অন্য বন্ধুদের সাথে  কাজ করি না। গত ২ দিন আগে সে ডিপার্টমেন্টের সামনে আমাকে গালিগালাজ করে জোর গলায় জিজ্ঞাসা করে যে সব কিছু তুই করবি নাকি স্যার কি তোকে একাই দায়িত্ব দিয়েছে কিনা। তখন আমি তাকে বলি যে স্যার আমাকে অফিসিয়ালি দায়িত্ব দিয়েছেন তাই আমি দায়িত্ব পালন করতেছি। তখন তার আক্রমণাত্নক আচরণ দেখে আমি তাকে ধাক্কা দিলে সে তখন অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আমার তলপেটে লাথি দেয়। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি আমার বন্ধুদের বলি। ট্যুর থেকে ব্যাক করার সময় আমার বন্ধুরা আমাকে ফোন দিয়ে কোথায় আছি জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি একটু পর দত্তেরহাট পৌছাবো। আমি দত্তেরহাট নামলে তখন আমার বন্ধুরা বাসে উঠলে তাদের সাথে দস্তাদস্তি হয়।

তারেক আরো বলেন, তারা এখন মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। তুহিন ভাইয়ের নামে ও তারা মিথ্যা বলতেছে। আশেপাশের লোকজনের কাছে শুনে তুহিন ভাই ঘটনার শেষের দিকে এসে দস্তাদস্তি থামিয়ে দিয়ে, আমাদের বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে বাস ছেড়ে দিতে বলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল হক তুহিন সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করে বলেন, এ ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি শেষ মুহূর্তে ছিলাম, ধরো একটা এক্সিডেন্ট হইলে যেমন মানুষ মানুষকে সেইভ করে না? আমি গিয়ে বাঁচাই। আমি মাইজদী থেকে দত্তের হাটে আসার সময় ঘটনা দেখে, ঘটনা শুনে গাড়ি থেকে নেমে ঘটনা স্হলে গিয়ে যে ঘটনা হয়েছে সেখান গিয়ে  এক সাইড(দল) কে বাস থেকে বাহির করে আনি আর ভার্সিটির গুলারে  বাসে পাঠাই দিছি। আমি এটা সল্ভ করে দিয়েছি শেষ মূহুর্তে, আমি এক মিনিট দেড় মিনিট আগে এসে এটা সল্ভ করে দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। আগামীকাল তাদেরকে একটা লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।  অভিযোগ দিলেই আমরা তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিব।
আবদুল্লাহ আল নোমান।

একুশে সংবাদ/এস কে 

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!