অবশেষে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা-৭ উদ্ধার করা হয়েছে। আট দিন পর প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচ থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। এয়ার লিফটিং ব্যাগ ও ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ফেরিটি ভাসিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিটিকে টেনে নিয়ে মানিকগঞ্জের নয়াকান্দি এলাকায় নোঙ্গর করায়। পরে শুরু হয় ফেরি থেকে পানি অপসারণের কাজ।
বিআইডব্লিউটিসি এর আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ খালেদ নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া পাঁচ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি ৯টি ট্রাক নিয়ে পদ্মায় ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা। পরে তলিয়ে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা। শুক্রবার দুপুরে যোগ দেয় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এরপর উদ্ধার কাজে যোগ দেয় জাহাজ ঝিনাই-১।
অবশেষে আট দিন পর বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ এটিকে পানির নিচ থেকে তুলে আনতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে নৌ বাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন বলেন, আটদিন ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী এবং বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল যৌথভাবে কাজ করে। এরপর বুধবার ৫০ ফুট পানির নিচে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় এয়ার লিফটিং ব্যাগ ও ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখা হয়।
এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকা থেকে রজনীগন্ধা-৭ ফেরিডুবির ছয় দিন পর চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বিআরডব্লিউটিএ’র দেয়ার তথ্য মতে, ফেরি রজনীগন্ধা-৭ মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পাটুরিয়ার কাছাকাছি গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের পন্টুনের অদূরে পদ্মা নদীতে নোঙর করে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়।
এরপর ডুবে যাওয়ার দিন উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ গিয়ে একটি কভার্ডভ্যান ও একটি ট্রাক উদ্ধার করে। পরদিন আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ গিয়ে উদ্ধার করে তুলা বোঝাই একটি ট্রাক। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ফেরি রজনীগদ্ধার উদ্ধারের পর একে একে অন্য সাতটি ফেরিও উদ্ধার করা হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :