দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এ জেলায় ১০ ডিগ্রি থেকে তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৫ ডিগ্রির ঘরে। হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় মৌসুমের ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি দেশে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বেলা বাড়লেও জেলায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। পাহাড়ি হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে জনদুর্ভোগ। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কমে গেছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। শীতের তীব্রতায় অনেকেই ঘরবন্দি জীবন অতিবাহিত করছেন।
তেঁতুলিয়া আবাহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন সময় সংবাদকে বলেন, ভোর ৬টায় এখানে দেশের মধ্যে ও মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। যা পরবর্তীতে সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা।
এদিকে বিরূপ আবহাওয়া ও মাঘের শীতে দুর্ভোগের পাশাপাশি শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বেশী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে ২০১৮ সালে। ওই বছরের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। একই দিন সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি।
এছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় ৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুরে ৩ ডিগ্রি এবং ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগেও, ১৯৯৬ সালে দিনাজপুরে ৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এছাড়া ২০১৯ সালে তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :