সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় কম্পিউটার শিক্ষার সনদ জালিয়াতির মামলায় চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাবেয়া খাতুনকে আদালতে চালান দিয়েছে মডেল থানা পুলিশ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকে উপজেলার দীঘলগ্রামের রাবেয়া খাতুন চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সে সময় রাবেয়া খাতুনের শিক্ষা ও কম্পিউটার সনদ ভুয়া বলে সন্দেহ হলে পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক পত্রের আলোকে বগুড়া জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী পরিচালকের কার্যালয়ে রাবেয়া খাতুন রুবির কম্পিউটার বিষয়ের সনদটি যাচাই— বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। এরপর ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাবেয়া খাতুনের কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্সের সনদটি যাচাই—বাছাই শেষে জাল ও ভুয়া সনদ বলে প্রমাণ হয়।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় রাবেয়া খাতুনের জাল সনদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তার চাকুরী এমপিও ভুক্তির কাল ২০০৯ সালের ১ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সাল অবধি সরকার থেকে দেওয়া বেতন ভাতার ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬৫০ টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দেওয়ার
নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৯ জুন তারিখে দুদকে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, দুদকের মামলায় শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি ছিল। রোববার রাতে গ্রেফতারের পর আজ সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে বিজ্ঞ আদালত থেকে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/শ.স.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :