বিশ্ব থাইরয়েড সচেতনতা মাস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাতে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কে এম নাহিদ-উল-হক। এসময় তিনি থাইরয়েড জনিত নানা সমস্যা ও সচেতনতার দিক তুলে ধরেন। ওষুধ কোম্পানি নুভিস্তার আয়োজনে অনুষ্ঠানের সার্বিক সহায়তায় ছিলো আরেক ওষুধ কোম্পানি থাইরোনর।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ন আহ্বায়ক অধ্যাপক মিজানুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে এসময় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মফিজুর রহমান মিলন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ডা. কে এম নাহিদ-উল-হক তার বক্তব্যে বলেন, থাইরয়েড একটা হরমোনজনিত রোগ। সবগুলো হরমোনের মতো এই থাইরয়েড হরমোনের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে মানব শরীরে। এর ফলে অনেক দম্পতির সময়মতো সন্তান হচ্ছে না। অনেক শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে না। শিশুদের গ্রোথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খর্বাকৃতি নিয়ে তারা নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, থাইরয়েড রোগটি সাধারণত নারীদের বেশি হচ্ছে। তবে পুরুষেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগটি প্রথম পর্যায়ে ধরা যায়না। এর লক্ষ্মণগুলো টের পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, থাইরয়েড রোগটি দুই ধরনের। একটি হাইপো, আরেকটি হাইপার। থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে যেমন সমস্যা তেমনি বেড়ে গেলেও সমস্যা। থাইরয়েড রোগের লক্ষ্মণগুলো হলো- শরীরের দুর্বলতা, ওজন বৃদ্ধি, স্মরণ শক্তি লোপ, ত্বকের সৌন্দর্য হানি, কন্ঠস্বর পরিবর্তন, এবং নারীদের পিরিয়ডে সমস্যা। হাইপার থাইরয়েড বুক ধরফর করে, ওজন কমে যায়, অস্থিরতা থাকে সবসময়। খুব ক্ষুদা থাকলেও খাবারের প্রতি অনীহা থাকে। নিদ্রাহীনতা শুরু হয়।
থাইরয়েড নিয়ে অনেক ভ্রান্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, থাইরয়েড হলে বিয়ে করতে পারবে না, বাচ্চা নিতে পারবে না এমন অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। এগুলো আসলে ভুল ধারণা। অনেক সময় বাবামায়ের থাকলে সন্তানেরও হয়। তবে হবেই তেমনও নয়। বাবামায়ের না থাকলেও হতে পারে। এসব সমস্যা দেখা দিলে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বাচ্চাদের গ্রোথ সমস্যা হলে, যাদের বাচ্চা হচ্ছে না, এসব সমস্যা দেখলে টেষ্ট করতে হবে। আবার এর চিকিৎসা নিয়ে অনেকে অনলাইনে প্রতারিত হচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :