AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নরসিংদীতে চেয়ারম্যানের বিরদ্ধে বালু বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


Ekushey Sangbad
সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী
০৭:০৪ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
নরসিংদীতে চেয়ারম্যানের বিরদ্ধে বালু বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের বিরদ্ধে দলের প্রভাব বিস্তার করে কৃষকের বালু বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।


উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ধুকুন্দি চরে পার্শ্ববর্তী নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে তোলা বালু কৃষকের জমিতে রাখা হয়। সেই বালুতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের চোখ পড়ে। প্রায় ২০ কানি জমির উপর রাখা কয়েক লাখ ফুট বালু চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী সারোয়ার হোসেন শাহিনের যোগসাজশে প্রায় ১কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ফেয়ার ইলেকট্রনিকস নামে এক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে বলে অভিযোগ করছেন।


ভুক্তভোগী সাইদ, হারিছুল হক, সাইফুল ইসলাম সহ একাধিক জমির মালিক বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের জমির পাশে নদী খননের সময় অতিরিক্ত বালু আমাদের জমিতে ফেলেন। ২৭/২৮ জনের জমিতে প্রায় ২০ কানি সম্পদের উপর এ বালু ফেলা হয়। গত কয়েকদিন আগে ইউপি চেয়ারম্যান ও শাহিন এসে বলেন রাস্তা নির্মাণে বালুর প্রয়োজন। রাস্তা নির্মাণের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, চেয়ারম্যান ও শাহিন ফেয়ার ইলেকট্রনিকস নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির কাছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় বালু বিক্রি করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যান ও শাহিন লোকলজ্জার ভয়ে ৭/৮ জন জমির মালিকে কিছু টাকা পরিশোধ করে। বাকি জমির মালিকরা তার কাছে বালু বিক্রির টাকা চাইতে গেলে তিনি দলের প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখান। এব্যাপারে আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় লোকজনকে মৌখিকভাবে জানালে সে আরও বেশি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। আমরা আমাদের বালু বিক্রির টাকা ফেরত চাই।


স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, সেনাবাহিনী নদী খননের সময় অতিরিক্ত বালু সাইদ, সাইফুল, শাহিন, হারিছুল সহ ২৭/২৮ জনের জমিতে ফেলা হয়। চেয়ারম্যান ও শাহিন মিলে রাস্তা নির্মাণের কথা বলে তাদের জমি থেকে বালু গুলো নিয়ে যায়। পরে শুনি ওই বালু স্যামসাং কোম্পানির ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের কাজে বিক্রি করে দেয়। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে পরে কৌশলে চেয়ারম্যান কিছু মালিককে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখেন।


এ বিষয়ে সারোয়ার হোসেন শাহিনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রতিনিধি জানান, আমার বিরদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোযাট। আমি বালু বিক্রির সাথে জড়িত না। বালু বিক্রির সম্পূর্ণ টাকা সকলকে পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার জমির বালু বিক্রির ভাগের টাকা আমি পেয়েছি। যারা টাকা পাইনি বলে অভিযোগ করছেন তারা চেয়ারম্যানের কাছে গেলেই হয়। আর চেয়ারম্যান তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসবে না।


কে এই সারোয়ার হোসেন শাহিন? জানা যায়  তিনি ২০০২ সালে মরজাল ইউনিয়ন ছাত্রদলের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক মাধবদী শাখায় কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার সত্যতা জানতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের মুঠোফোনে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেন। পরে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!