মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে দেশটি থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কমান্ডারসহ আরও ৩৫ জন সদস্য উখিয়ার সীমান্তে পালংখালি বিওপির সদস্যদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ২৬৪ জন সদস্য।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে গোলাগুলির চলমান অবস্থায় তারা দুপুর ১২টার দিকে ঢুকে পড়েন। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পালংখালি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বার বলেন, মিয়ানমারে ওপারে গোলাগুলি চলমান অবস্থায় এপারে পালংখালিতে সীমান্ত দিয়ে এপারে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিজিপির কমান্ডারসহ ৩৬ জন ঢুকে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে বিজিবির আশ্রয়ে নেন। পরবর্তীতে বিজিবি কতৃপক্ষ তাদের গাড়িযোগে পালংখালি ক্যাম্প থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছেন।
এ গোলাগুলির ঘটনায় এলাকার অনেক লোকজন সরে গেছে। ভয়ে ও আতঙ্কে চলাচল অনিরাপদ হয়ে গেছে।
এদিকে, মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনাটি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজিপির ১০৬ সেনা পালিয়ে আসার তথ্য জানায় বিজিবি।
এদিকে মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানে দুইজন নিহত হন। সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপির চার নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ওই এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫২)। এছাড়া অপর নিহত রোহিঙ্গা পুরুষের (৫৫) পরিচয় জানা যায়নি।
একুশে সংবাদ/ই.ফ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :