রাজশাহীতে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া এক নারীকে কৌশলে আটক রেখে ধর্ষণ, পরে ভিডিও ধারন করে তা সোশ্যালে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমিক দিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টায় তিন নারীসহ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ভুক্তভোগী ওই নারীকে।
সাত ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর পদ্মা আসাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মহানগরীর চন্দ্রিমা এলাকা থেকে র্যাব নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার ও চার জনকে গ্রেপ্তার করে।
আজ শুক্রবার সকালে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ধর্ষক আলমগীর রয়েল, তারা স্ত্রী হেলেনা খাতুনসহ দিলারা বেগম ও মমতাজ বেগম।
মুনীম জানান, সাত ফেব্রুয়ারি নির্যাতনের শিকার নারী কেনাকাটা করতে কোর্ট স্টেশন এলাকায় আসেন। সেখানে তার মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। এসময় আলমগীর রয়েল পূর্বপরিচিত হওয়ায় তাকে মোবাইল পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নগরীর পদ্মা আসাসিক এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
তিনি জানান, সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা আলমগীর রয়েলের স্ত্রী হেলেনা খাতুন, দিলারা বেগম ও মমতাজ বেগম গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করেন। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধারের পাশাপাশি র্যাবের একটি দল আলমগীরসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে।
আলমগীর রয়েরেল বিরুদ্ধে আগেও নারী ও শিশু আইনে একটি মামলা আছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :