নরসিংদীর বৃহৎ রায়পুরা উপজেলাটি ২৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ সাফায়েত হোসেন পলাশ। এই ওসি যোগদানের পর কমে গেছে মাদকের ভয়াবহতা, খুন-খারাপি, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ চাঁদাবাজির ঘটনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন উপজেলার সাধারন জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের নেতারা।
সচেতন মহল বলছেন, উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রয়েছে রায়পুরা থানার। বিশেষ করে থানার ওসি মোঃ সাফায়েত হোসেন পলাশের যোগদানের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে তার আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের এই সাফল্যে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে কিছু সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্বৃত্তেরসহ দালালদের। বিগত সময়ে তিনি নরসিংদী বেলাবো থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেলাবো বাজারের ব্যবসায়ীগণ। তিনি বেলাবো থেকে রায়পুরা থানায় বদলী হওয়াতে একজন সৎ, আদর্শ ও নীতিবান ওসি হারিয়েছেন বলে মনক্ষুন্ন হয়েছেন বেলাবো এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার গুরুত্বপূর্ণ রায়পুরা উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাগতভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে এই থানার পূর্বের ওসি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে হিমশিম খান রাজনৈতিক নেতা ও দালালদের কারণে। এমন পরিস্থিতিতে এ থানার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ওসি মোঃ সাফায়েত হোসেন পলাশ। বর্তমান ওসি হিসেবে যোগদানের পর উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রায়পুরা এলাকাবাসী। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন সাফল্যজনক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা থানার তদন্ত (ওসি) হালিম সাহেবের তৎপরতায় বিগত সময়ে অনেক মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আতংকের নাম এখন তদন্ত (ওসি) হালিম। সাধারন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন তিনি।
রায়পুরা উপজেলার আওয়ামী লীগ কর্মী মোঃ ফয়সাল জানান, নতুন ওসি সাফায়েত হোসেন পলাশ এই থানার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীরা ভয়ে আতংকে রয়েছে। কারন, তিনি বিগত সময়ে বেলাবো থানায় থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেন।
রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ স্বস্তিবোধ করে বলছেন, তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ খুশি। রায়পুরার সাধারন ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে অতিগুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলা। এখানে কাঁচামাল ও বিভিন্ন সবজি পাইকারী ও খুচরা বেচাকেনা হয়। যেকারণে এখানে গেড়ে বসেছিল চাঁদাবাজরা। কিন্তু বর্তমানে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। এখন দিনে ও রাতে পুলিশের টহলদারীতে বা নজরদারীতে চুরি ডাকাতি অনেকাংশেই কমে গেছে।
ফলে পোষ্য সন্ত্রাসীরাও চুরি ডাকাতি ছিনতাইসহ নানাবিধ অপকর্ম চালাতে পারছে না। রায়পুরা থানার বর্তমান ওসি সাফায়েত ইসলাম পলাশের যোগদানের পর চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা গাÑঢাকা দিয়েছে। উপজেলা সড়ক পরিবহন সদস্যরা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্বের তুলনায় অনেক ভাল। বিশেষ করে বাজার এলাকায় যানজট, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। নতুন ওসি বেশ চমক দেখিয়েছেন।
মরজাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, বর্তমান ওসি সাফায়েত ইসলাম পলাশের কৌশলী ভূমিকার কাছে হার মেনেছে অপরাধীরা। পাড়া-মহল্লায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিট পুলিশিং কমিটির তৎপরতায় করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি করেছেন। তিনি প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখেন। তবে পুলিশের এই প্রশংসনীয় ভূমিকা মানতে পারছেন না কতিপয় স্বার্থাম্বেষী মহল। কারণ পুলিশের ভূমিকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাত্রা বেশ কমে গেছে।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সাফায়েত ইসলাম পলাশ বলেন, জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/সা.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :