ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে প্রকৃতিতে যেন রঙে আগুন লেগেছে ফাগুনে। আর শীতের খোলস ছাড়িয়ে নবরূপে সেজেছে বৃক্ষরাজি। এরই মাঝে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল। ছড়াচ্ছে মৌ মৌ ঘ্রাণ। সরজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন, সাতগাঁও, সিন্দুরখান, কালাপুর এবং ককালিঘাট ইউনিয়নসহ শহরের মাস্টারপাড়া, কালিঘাট রোড, জালালিয়া রোড , শহরতলীর মুসলিমবাগ ও সিন্দুরখান রোড ইসলামবাগ এলাকার বাসিন্দাদের বাসা-বাড়িতে রোপণ করা আম গাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, অনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন আম বাগান। এছাড়া অফিস-আদালত কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দোলা দিচ্ছে মুকুল।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল আসতে শুরু করেছে। এবারে এসব মুকুল থেকে বেশি পরিমাণ পরিপক্ব আম পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে গাছগুলোতে ওষুধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা গ্রহণ করছে।
আশিদ্রোন ইউনিয়নের মোহাজেরাদ এলাকার রুবেল মিয়ার নামের এক চাষী বলেন, এলাকার এমন কোন বাড়ি নেই যে, যাদের বাড়িতে আমগাছ নেই। তাই প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে আমের মুকুল। শুধু আমের মুকুলই নয়, কাঁঠাল, লিচু লেবু প্রভৃতি ফলের গাছের ফুলের গন্ধে চারিদিকে সুবাতাস বইছে। এসব মুকুলে সুবাস যেন মুগ্ধ করে তুলেছে মানুষকে। বাণিজ্যিকভাবে আমচাষ করেন কবির মিয়া।
তিনি জানান, বিদেশি জাতের আমগাছগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছে। এবারে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে। প্রত্যাশামূলক ফল পেতে সঠিক যত্ন নিচ্ছেন গাছগুলোর।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাটি আম গাছের জন্য বিশেষ উপযোগী। বাণিজ্যিকভাবে যারা আম চাষ করেছেন তাদের লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এ.ম.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :