ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের হাজীগঞ্জ বাজারে দুর্ধর্ষ কায়দায় তিনটি স্বর্ণালঙ্কারের দোকান এবং একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনার ঘটনা ঘটেছে ।সোমবার(১৯.২.২৪) দিবাগত রাতে ২০-৩০ জনের একটি ডাকাতদল বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ তাণ্ডব চালায়।এবং নৈশ প্রহরীদের বেঁধে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ।
ডাকাতির শিকার জুয়েলারি দোকানগুলো হলো- প্রফুল্ল কর্মকারের পুষ্পিতা জুয়েলার্স, শ্রীকান্ত কর্মকারের আশা জুয়েলার্স ও গোপিনাথ কর্মকারের নিউ সুজলা জুয়েলার্স এবং জুবায়ের মোল্লার বাসভবন।
জুবায়ের মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, রাত ২টার দিকে তিনি দোকানের সাটার খোলার শব্দ শুনতে পেয়ে নিচে নেমে আসেন। কারা সেখানে ধমক দিয়ে জানতে চাইলে ডাকাতেরা তেড়ে এসে তার ভবনের কেঁচিগেট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে। তারপর ১০ থেকে ১২ জন তিনতলার দরজা ভেঙ্গে তার ঘরে ঢুকে তাকে মারপিট করে চার ভরি স্বর্ণালংকার এবং ৪ ভরি রৌপ্যালংকার ছাড়াও নগদ দুই লাখ টাকা লুট করে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রফুল্ল কর্মকার, শ্রীকান্ত কর্মকার ও গোপীনাথ কর্মকার বলেন, তারা কেউ দোকানে ছিলেন না ঘটনার সময়। খবর পেয়ে রাতে বাজারে এসে দেখেন তাদের দোকানের সাটারের তালা কেটে সিন্দুক ভেঙ্গে সবমিলিয়ে সাড়ে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪২০ ভরি রৌপ্যালংকার ও ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা লুট করেছে তারা।
চর হাজিগঞ্জ হাট-বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি কবিরুল আলম ব্যাপারী বলেন, ৩০ থেকে ৪০ জন ছিল ওই ডাকাতদলে। রাত ১টার দিকে চারজন নৈশ প্রহরীর হাত-পা বেঁধে বণিক সমিতির অফিসের তালা কেটে সেখানে আটকে রাখে। তারপর ডাকাতি শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, পাশের উপজেলা সদরপুরের আটরশীতে উরস উপলক্ষে নৌপথ ও সড়কপথে গভীর রাতে কিছু লোকের চলাচল ছিল। ডাকাতেরা রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই বেঁধে রেখেছে। খবর পেয়ে লোকজন তাদের উদ্ধার করে।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, কয়েকটি দোকানের তালা ভাঙ্গার খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে মালামাল নিয়ে গেছে বলে তারা অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :