সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কৃষি চিত্রে বদল আসছে। এখন কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসবের ব্যবহার বাড়ছে। কৃষকেরা সব ধরণের ফসলের আবাদে এখন জমিতে হালচাষ করা হচ্ছে পাওয়ার টিলার নয়তো বড় ট্রাক্টর মেশিনে। বড় ট্রাক্টর মেশিনে কিংবা পাওয়ার টিলারে হালচাষ ছাড়াও ফসল বীজ বোজার পর একই মেশিনে মই চাষ দেওয়া হয়। উপজেলার অনেক মাঠে কম্বাইন হারবেস্টার মেশিনে ধান কাটা এবং মেশিনে ধান মাড়াই কাজ করা হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়, গত বছর বিভিন্ন এলাকার আগ্রহী কৃষকদের মাঝে ভর্তুকি দামে ২৪টি কম্বাইন হারভেস্টার, ১১টি পাওয়ার থ্রেসার, ২০টি হ্যান্ড স্প্রেয়ার, ১৮টি রাইস উইডার, ২টি পিটিওএস, ১৪টি কর্ন শেলার, ২১টি ফুট পাম্প, ১টি সীড সোয়িং ও ১টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে বহু কৃষক পরিবারে পাওয়ার টিলার মেশিন আছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। নাগরৌহা গ্রামের কৃষক করিম মিয়ার নিজস্ব দুটি পাওয়ার টিলার মেশিন আছে। নিজের জমি হালচাষ ছাড়াও অন্যের জমি বিঘা চুক্তিতে টাকা নিয়ে মেশিন দুটিতে হালচাষ করে দেন।
কৈগাতী চরপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন নিজের বিঘা পাচেক জমি বোরো (ইরি) ধান আবাদে বড় ট্রাক্টরে হালচাষ ও মই দিয়ে নেন। তিনি বলেন, এক সময় গরু দিয়ে জমি চাষ করতাম। আর এখন আধুনিক প্রযুক্তির পাওয়ার টিলার নয়তো বড় ট্রাক্টরে হালচাষ করে আবাদ করছি। এতে সব দিক থেকেই সুবিধা হয়েছে।
বড় ট্রাক্টর চালক জুয়েল বলেন, বোরো ধান আবাদের জন্য এক বিঘা জমি হালচাষ ও মই টেনে জমি সমান করতে আটশ থেকে এক হাজার টাকা নিচ্ছেন। দিনে প্রায় পয়ত্রিশ বিঘা জমিতে হালচাষ ও মই টানতে পারছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, তার বিভাগ থেকে প্রায় তিন বছরে ভর্তুকি দামে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কম্বাইন হারবেস্টার মেশিনসহ নানা মেশিন দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা জমিতে হালচাষসহ ফসল কাটা, মাড়াই কাজে আধুনিক নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে।
একুশ সংবাদ/সা.হ.উ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :