ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহতর ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার ৯ দিন পর আহত বাবলু ঠাকুরের বাবা ইদ্রিস ঠাকুর বাদি হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন। এজাহারনামীয় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- মো. শফিকুল শেখ (৪৫), দুলাল বিশ্বাস (৫২), মিলন বিশ্বাস (৩০), শাজাহান সওদাগর (৪২), নাসির সওদাগর (৩৮), মনিরুল মোল্যা (৩৫), আমিরুল মোল্যা (৩০), ফরিদ শেখ (৩৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারে জায়েদ আলী মামুনের সাথে ওয়াইফাই নিয়ে আসামীদের বচসা হয়। এক পর্যায়ে এক নম্বর আসামী শফিকুল শেখ হাতে থাকা রামদা দিয়ে মামুনকে কুপিয়ে জখম করে। অন্য আসামীরাও মামুনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এ সময় জায়েদ আলী মামুনকে উদ্ধার করতে গিয়ে মামুন ঠাকুর ও বাবলু ঠাকুর জখমপ্রাপ্ত হন। বাবলু ঠাকুরের কাছে থাকা নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার ৯ দিন পর আহত বাবলু ঠাকুরের বাবা ইদ্রিস ঠাকুর বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় এ মামলা করেন।
প্রসঙ্গত: ওই সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৩ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভাংচুরকৃত ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আহত ৭জনকে বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই মামুন ঠাকুর ও বাবলু ঠাকুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। এ ঘটনায় বাবলু ঠাকুরের পায়ের নিচের অংশ থেকে কেটে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সৈয়দপুর বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর চালিনগর গ্রামের তরিকুলসহ ৩/৪জন যুবক নেশাদ্রব্য সেবনের উদ্দেশ্যে আসে। তখন আমি তাদেরকে সেখান থেকে চলে যেতে বললে তারা আমাকে মারধর করে কপাল ফাটিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনার রেশ ধরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে চালিনগর গ্রামের তরিকুল মোল্যার নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত আবারো আক্রমণ করে।
জানতে চাইলে শাজাহান সওদাগর বলেন, আমি কিংবা আমার দলের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে আমাকে আসামী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মনিরুল মোল্যা নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আজ দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় এজাহারনামীয় কেউ জড়িত না থাকলে তদন্তসাপেক্ষে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :