সিরাজগঞ্জে জুমার নামাজের খুৎবা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন। গত শুক্রবার (০১ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের চক দায়দোর পাড়া গ্রামে নবনির্মিত বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুৎবা দেওয়া কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন।
গুরতর আহতরা হলেন, বাবু তালুকদার, ইলিয়াস তালুকদার, নাজমুল তালুকদার, ঠান্ডু তালুকদার, আমির হোসেন তালুকদার, আলহাজ্ব তালুকদার, আব্দুস ছামাদ তালুকদার,খোকন হোসেন তালুকদার,শাহাদাৎ শেখ, রিফাত শেখ, মারুফ শেখ। এদের মধ্যে অনেকই শেখ ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গমাতা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে এবং অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসছে।
তথ্যসুত্রে জানাগেছে, নলকা হেম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হাদি গং আলাউদ্দিন, বাবু,তালেব,ফরিদ সহ আরও অনেকে জুমার নামাজের খুৎবা দেওয়ার বিপক্ষে ছিল। এবং পরিকল্পিত ভাবে সলঙ্গা থানা থেকে পুলিশ সদস্য নিয়ে এসে জুমার নামাজ আদায়ের আগমুহূর্তে শাহাদাৎ শেখ গং এর উপর লাঠি,ইট ও পাটকেল দিয়ে হামলা করলে প্রতিপক্ষ পাল্টা হামলায় দুপক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে।
কাজী আমির হোসেন তালুকদার বলেন, প্রায় ৬০ বছর আগে চক দায়দোর পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত মাদ্রাসায় সবাই আরবি শিক্ষা লাভ করে। এখনও এই মাদ্রাসা টিকিয়ে আছে। আমাদের এই গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ অনেক দুরে তাই এই মাদ্রাসার ক্যাশিয়ার আমির হোসেন সহ আমাদের পাড়ার সবাই মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করি। সবার সমন্বয়ে বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ নামকরণ করে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ইসলামিক জালসা দিয়ে আয় হয় নগদ ২ লক্ষ টাকা ও বাকিতে দান করেন সিমেন্ট, ইট,টিন, বালি ইত্যাদি। এরপর মসজিদে নামাজ আদায়ের উপযোগী করে জুমার নামাজের খুৎবা দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতার প্রস্তুতি দেখে মালিকানা জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কে কেন্দ্র করে ক্যাশিয়ার আমির হোসেন ও মাওলানা আব্দুল হাদির উস্কানিতে জুমার নামাজের খুৎবা বাধা দেওয়ার পর এই ভয়াবহ সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
এদিকে চক দায়দোর পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ক্যাশিয়ার আমির হোসেন এর চাচাতো ভাই আসলাম তালুকদার জানান, মসজিদে আমারও জায়গা দিয়েছি। মসজিদে জুমার নামাজের খুৎবা দিবে সে বিষয়ে আমাদের কে কিছুই বলেন নাই। আমরা যে কোন ভাবে এই খবর জানতে পারি যে আজকে খুৎবা দিবে। কী জন্য আমাদের জুমার খুৎবা দেওয়ার বিষয়ে কেন অবগত করেন নাই এই জন্য আমরা গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধানদের নিয়ে সামাজিকভাবে বসার সিদ্ধান্ত নিলে শাহাদৎ শেখ গং আমাদের উপেক্ষা করে জোরপূর্বক খুৎবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য নিয়ে আসলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয় এই অবস্থায় পুলিশ খুৎবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেই পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য। প্রতিপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা কাটাকাটির সময় এ সংঘর্ষ হয়েছে।
তবে ক্যাশিয়ার আমির হোসেন এর বিরুদ্ধে নগদ ২ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। নগদ ২ লক্ষ টাকা মসজিদ কমিটির হাতে বুঝিয়ে না দেওয়ায় ও মসজিদে উন্নয়নমুলক কাজ না করায় এ অভিযোগ তোলে প্রতিপক্ষ।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক এর সাথে সংঘর্ষ ও মামলার বিষয়ে জানার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে কল রিসিভ করেন নাই।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :