ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে আগুন লাগে। তবে সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স শাহানাজ পারভিনের সাহসিকতায় বড় ধরনের ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
শাহানাজ পারভিন বলেন, রাত তখন ১০টায় ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন আমি আর আয়া রাশেদা। হঠাৎ ওয়ার্ড থেকে আগুন আগুন বলে চিৎকার করছেন রোগীর লোকজন। এ সময় দিশেহারা হয়ে যায় আমি। ভূলে যাই আমার সংসার আর সন্তানের কথা। কি হবে তা না ভেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈদ্যুতিক মেইন সার্ভিসের দিকে এগিয়ে যাই। পাশে শুকনা কিছু না পেয়ে পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে বৈদ্যুতিক মেইন সার্ভিসের সুইস বন্ধ করার চেষ্টা করি। সুইসটি হাতে না পেয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীর অভিভাবকের সহায়তায় তা বন্ধ করি।
শাহানাজ আরো বলেন, এরপর মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় ওয়ার্ডের আগুন। তবে ধোঁয়া আর গন্ধ ছিল বেশ সময়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় দুইটি ওয়ার্ড। এরমধ্যে ডায়রিয়া শিশু আর সাধারণ ওয়ার্ড। আগুনের এ ঘটনাটি ঘটেছিল ডায়রিয়া শিশু ওয়ার্ডে। এ সময় রোগীরা ভয়ে ভীত সন্তস্ত হয়ে পড়েন। ছোটাছুটি করতে থাকেন। খুজতে থাকেন নিরাপদ আশ্রয়। ওই সময় ওয়ার্ড দুটোই শিশু রোগী ছিল ৪০ টি আর অভিভাবক ছিল ৮০ জনের মত। এ কারনে সব ভূলে গিয়ে বৈদ্যুতিক সার্ভিসের মেইন বন্ধ করতে যায়।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন,বৈদ্যুতিক বোডের মধ্যে টিকটিকি ছিল। এ কারনে শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় আমাদের নার্স শাহানাজ পারভিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈদ্যুতিক সার্ভিসের মেইন সুইস বন্ধ করায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। তিনি বলেন, এরপর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনগনরা আসে।
একুশে সংবাদ/সু.কু.উ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :